পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ছেলে থাকবে । কী হিসেবে তোমাকে ও কথাটা বললে মা ? শুনেছিলে তুমি ? অর্চনা দিই-দিই করে তবুও এ জিজ্ঞাসার কোনো উত্তর দিল না—"বি-এ দিচ্ছে ন সুলেখা এবার ? ‘না ।" হগরীত বললে । "কেন ?? তৈরি হয় নি ।” ‘অগসছে বণর দেবে ?" ‘সেই রকমই তো ইচ্ছে ।" ‘কেন, তুমি পড়িয়ে তালিম করে দাও না । এবারই দিক । কেন মিছিমিছি একটা বছর নষ্ট করবে ? ‘নষ্ট আর কী, হরীত চিন্তিতভাবে বাইরের দিকে তাকিয়ে বললে, ‘ওরা তো আর পাশ করে চাকরি নিচ্ছে না । বাঃ, আমি পড়বে সুলেখাকে ? সে কত পড়াতে পারে আগমণকে ।” ‘কী যে বল তুমি হরীত । ‘সত্যি বলছি তোমাকে । আমি পড়াশুনে ছেড়ে দিয়েছি অনেক দিন । ও তো রোজ বই কিনছে, পড়ছে ।” কেমন লাগে সুলেখার মাকে তোমার হারৗত ? হার্যত একটু বিচক্ষণভাবে অৰ্চনার দিকে তাকিয়ে বললে, ‘সুলেখার দিদির মত দেখায় তার মাকে । বয়স বছর চল্লিশের বেশি হবে না । কিন্তু জুলেখার চেয়ে বড় মনে হয় না । আশ্চির্য সব পটের মত ওরা ’ এ রকম নাকি কলকাতায়, ইণ্ডিয়ান ইউনিয়নে কোথাও দেখে নি, কে কণর চেয়ে বেশি সুন্দর হঠাৎ দেখে বলা কঠিন, আস্তে-আস্তে বুঝতে পারা যায় সুলেখাই সবচেয়ে বেশি, নাকি জুলেখা ? জুলেখা আর তার মা একই রকম । বলতে-বলতে অনেক কথা অর্চনার মত মেয়েমানুষকে বলে ফেলেছে হরীত । যা বলা দরকার ছিল তার চেয়ে বেশিই বলেছে যেন, নিজেকে সামলে নিয়ে হারীত বললে, ‘সুলেখার মার সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা হয় নি আমাৰ । কেমন লোক বুঝতে পারছি না। প্রায়ই তো বাইরে থাকেন। ‘বাইরে থাকেন ! কেন বাইরে থাকেন ? Ꮼ☾S