পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে নতুন সভ্যতা আনবে—যদি হয় তাও বিষ—মানুষের সৃষ্টিরই মর্মকুহরে কীট রয়ে গেছে বলে—তা হলে কী করবে সে ? না, ন| কীট নেই, কাজ ছাড়া কোনো কথা নেই, বেশি ভাবার কোনো দরকার নেই, নদী জমি বন সন্ধাপর নিস্তব্ধতা বলে কোনো জিনিস নেই ; নিশীথ সেন অণর হেরুস্তে রলিন আ র লুক্রেসিয়সের বিষয় নিঃশ্বব্দতার ভেতরে নিজেকে ছেড়ে দিলে চলবে না। পৃথিবীট। মহাভারতের পৃথিবী, কিংবা দান্তের নরকের নরকাতীত একটা আশ্চর্য শুদ্ধশীল প্রবাহের অজগস্তে জনতাসংস্থান, কেমন অধো আপলোকিত কেমন রক্তের রাত্রির রঙে প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠে বিশাল দিনের রং পেতে যাচ্ছে । ‘আগমণর কথার কোনো উত্তর দিলে না তে। হfরী ত ।’ ‘আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম যেন । ‘দেখছিলুম তো । ‘কী দেখছিলে ?’ ‘যেন বাইরে তাকিয়ে উষা-অনিরুদ্ধের অণকাশ অালো দেখছ ; তোমার দিকে দেখছিলুম আমি।” ‘অনেকটা সময় কেটে গেছে ?”

  • ই্যা—মিনিট পনের-কুড়ি হবে— কেমন একটা তন্দ্রর মতন এসে পডেছিল । নিজেকে কাজের মানুষ করে তুলতে চাই, অথচ কাজ ফেলে কথাই ভাবি ।” ‘আমিও তো ভাবি ; ভেবে নিলে কাজের সুবিধে হয় । হারীত বললে, “তোমার মনে হয় সুলেখারা এখান থেকে চলে যাবে ? “তোমাকে বলে নি তারা কলকাতায় যাচ্ছে ?” ‘না তো । যাচ্ছে, কারো কাছে শুনেছ বুঝি ? "অনেকেই তো চলে যাচ্ছে, অর্চনা বললে । ‘ওঃ, সেই কথা, হরীত একটু নিস্তার বোধ করে হেসে বললে, "না, অনেকের সঙ্গে সুলেখাদের মা তলিয়ে সাবার লোক নন। চলে যাবে হয় তো এক দিন, কিন্তু দেরি আছে । অt জ নয়, কাল নয়, কথাটাই তো ওঠে নি এখন । ‘তোমার কাছে জুলেখার মা পাড়ে নি কথাটা, বলতে চাও তুমি হারাত ? 'জুলেখার মার সঙ্গে কথাবার্তা হয় না। আমার—

‘তা হলে কী করে পাড়বে ? S)○○