পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেই, বাইরে পাখিদের ভেতর একটা ঘুমতাড়া এসে পড়েছে, পতঙ্গ দের ভেতরেও, কেমন ছায়া এসে পড়েছে, দেখছিল হাল্লীত । না, চলে যায় নি অৰ্চনা । বসে আছে । কেমন যেন বিমুগ্ধ বিষধরের মত বিড় পাকিয়ে বসে অাছে কেমন মনিল, নিবিড়, শ্বেতাঞ্জনের মতন । কিন্তু বিয নেই, ভেতরে সুধা আছে, সুধা ক্ৰমে-ক্রমে বেশি জমে উঠেছে যেন অৰ্চনাকে ছাপিয়ে, হারীতের আত্মণকে অতিক্রম করে, হfরীতের শরীরের ভেতরেও যেন । এবং বিষ নয়, কলকাতায়, ইণ্ডিয়ান ইউনিয়নে বিংশ শতকে, ইতিহাসের অনেক স্তরে অনেক বিষ দেখেছে সে । অমৃত উপলব্ধি করা যাক বাইরের প্রকৃতির দিকে চোখ রেখে, সে চোখ না ফিরিয়ে, আর মানুষ মানুষকে যা কোনোদিন দিতে পারে না শরীরে একটা অবাধ বিলোড়ন ছাড়া, সেই ব্যথিত সুধা, শরীরকে গ্রহণ করতে না দিয়ে চোখের ভিতরে সঞ্চিত করে । অৰ্চনা বসে আছে খাটের দূরের কিনারে, সুমন ঘুমিয়ে আছে, চেয়ারে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে অাছে হfরীত। যে সুধা মানুষের স্নায়ুর অবলম্বন চাচ্ছিল, তাকে আজকের এই অসুস্থ সংস্কার, কীটনষ্ট সমাজ সংস্থিত আধার, গ্রহণ করতে পারবে না বলে, মননের বৃহৎ সুস্থতার দেশে একটা প্রকাণ্ড সাদ। পাখির মত সঞ্চারিত করে দিল হরীত। কেমন অদ্ভুত স্বৰ্গীয় বিমোহ । এ পাখির তাসা-যাওয়া আত্মীয় ( যদি তা বলে কোনো জিনিষ থাকে ) ; আত্মার থেকে মনে ; মনের থেকে শরীর থেকেও মাঝে-মাঝে—শরীরকে ছেড়ে দিয়ে শুক্ল সূর্বে আবার, অনুগত স্বচ্ছতায় স্পৰ্শতায়, অনন্ত যেখানে নেই তার সুধার সেই অন্তিম নির্জনতার দেশে । ‘কী ঠিক হল ?’ অৰ্চনা বললে, ‘কী ঠিক হল ?’ “কিসের ?’ কোথায় ছিল যেন সে, যেখানে এখন বসে আছে সেখানে নয়, চমকে উঠে বললে হরীত । যে খোপাট ভেঙে ফেলেছিল সেটাকে ঠিক করতে-করতে, যে-কথা সোজাসুজি বলতে ইচ্ছা করছিল অর্চনগর সেটাকে গড়িমসি করে, প্রণয় সে জণভাবেই বললে অৰ্চনা, এখন তো শান্তির সময় বলছিলে তুমি, সত্য উদঘাটনের সময় । মানুষের সম্বন্ধ এলোমেলে। হয়ে যায় না এই সময়, বলেছিলে তুমি ? সত্য সম্বন্ধ স্থির হয় বলছিলে । কী সম্বন্ধ তা হলে’—বলতে-বলতে নিজেকে শুধরে নিয়ে অর্চনা বললে, ‘অfচ্ছ, ঐ যে নারকেলি গাছে পাখি দুটো থাকে—রাতে প্রহরে VඵI