পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রহরে ডেকে ওঠে—ওরা কি বাজকুডুল ?’ ‘কী সম্বন্ধ ঠিক হল অৰ্চনা ? ‘তুমি অর্চনা ডাকলে আমাকে । ই্যা, পাখি দুটো বাজকুডুল, হরীত বললে, ‘একশ বছর বঁাচে । এক সঙ্গে থাকে ৷” দুজনেই চুপ করে বসে রইল কিছু ক্ষণ । পা দুটোকে বুক পালকের কাছে টেনে মরাল-সারস-বক-বাজপাখি যে-রকম অণকণশ দিয়ে উড়ে যায় সেই রকম পা গুটিয়ে বসেছিল অর্চনা ; ডান পায়ের ওপর পা চড়িয়ে বসেছিল হরীত আকাশ-বাতাসের দিকে তাকিয়ে । তুমি এক বছর এখানে থাকা ঠিক করেছ হরীত ? ‘হঁ্যা, ঠিক করেছি।” ‘কবের থেকে এক বছর ? "এই অণজ থেকে—’ ‘তার পর, বছর ফুরিয়ে গেলে থাকবে না আর ? ‘এই তো সবে শুরু হল বছর, হরীত বললে, ‘এক বছর ফুরোবার আগে তুমিই তো এখান থেকে চলে যাবে।” ‘কে বললে ?” বিশেষ কোনো মনোযোগ না দিয়ে অর্চনা বললে । ‘কলকাতায় মাস্টারি জোটাবার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছেন তো মহিমবাবু। অর্চনার ঘুম পাচ্ছিল যেন, সুমনার ঘুম শেষ হচ্ছে না, বাইরে সন্ধ্যা হয়ে আসছে, ঘুম পাচ্ছে না হরতের । কেমন সোজা খাড়া হয়ে বসে আছে সে । ‘মহিমবাবু পেয়ে যেতে পারেন। তিনি তো ফাস্ট ক্লাস । ঢাকা ইউনিভার্সিটির অবিশ্যি । হোক তা ঢাকা ইউনিভার্সিটির, ফাস্ট" ক্লাস তো ; কলেজের কর্তৃপক্ষরা ফাস্ট ক্লাসটাই দেখে। ফাস্ট ক্লাস থার্ড তে। মহিমবাৰু ? নাকি থার্ডক্লাস ফাস্ট' ? তোমার ঘুম পাচ্ছে, ঘুমিয়ে পড়ছ অৰ্চন । ‘তোমার ঘুম পাচ্ছে না হারীত ? না। অামার বেরুতে হবে রাতে । সারণ রণতই বাইরে থাকতে হবে । বাড়িতে ফেরা হবে না বোধ হয় আজ রাতে অণর । ‘কোথায় যাবে ? ঘুমে জড়িয়ে যেতে-যেতে অর্চনা বললে । ‘যাব বিরাজ সাহার আtড়তে । সেখান থেকে চালের জোগাড় করে চামার ○○>