পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬৯

উনি কাজ নিয়ে কলকাতায় গেলে তুমি যাবে না ? উনি কলকাতায় যাবার আগে তুমিই তো জলপাইহাট ছেড়ে চলে যাবে হণরত ?’ ‘কোথায়, পরলোকে ?’ বলতে-বলতে উঠে দাড়গল হরীত । উঠলে ?’ ‘হ্যা, বেরিয়ে পড়ছি অগমি । সার। রণত অামার কাজ অনেক দিকে অণজ । BB BBBS BBB BS BBB BB BBBS BBBB BBBBB BB BBB BB মীর কাছে একটু বসে থাকে৷ তুমি । আজ রাতে মার সঙ্গেই শুয়ো । তোমার কর্ত। ফিরে এলে তাকে সেটা বুঝিয়ে বলবার দরকার হবে না, জুতো আঁটতেআঁটতে বললে হারাত, ‘এক কথায়ই বুঝে যাবেন তিনি । হগরীত অর্চনার দিকে হাসির স্বচ্ছ শুশ্রুষায় তাকিয়ে অন্ধকারের ভেতর বেরিয়ে গেল । মিনিট পনের পরেই হারীত ফিরে এসে দেখল, অৰ্চনা তেমনি হাটু ভেঙে গুটিয়ে চুপচাপ বসে আছে । শরীরের সমস্ত সাদা শাড়িটা বাতাসে কাপছে উড়ছে ঃ এখুনি যেন একটা বড় পাখির মত উডে যাবে অর্চনা রাত্রির আকাশের অভিজিৎ, লুব্ধক, সপ্তর্ষি নক্ষত্রগুলোর দিকে । ‘তুমি ফিরলে যে ? পিছু ডাকলে, না ফিরে কী করি ? ‘টাকা ফেলে গেছ তো ?’ ‘কী করে বুঝলে তুমি ? ‘যাবার বেলায় তোমাকে টাক। নিতে দেখলাম না তো ।” ‘সে টাকা ট্যাকে বেঁধে রেখেছি ভেবেই তে রওনা দিয়েছিলাম । খানিক পথ গিয়ে দেখি টাকা নেই— অৰ্চনা একটু ঠিক হয়ে বসে বললে, 'ট',াকে যে টকি নেই তা তো আমি দেখছিলাম—’ ‘তুমি দেখছিলে ? কী করে দেখলে ?’ ঐ যে সুমনাদির বালিশের নীচে নোটের তাড়া, বালিশ সরে গেছে, নেটগুলো বেরিয়ে অাছে ; ঘণ্টাখানেক ধরে তে এই রকম । তোমার চোখে পড়ে নি ?" তুমি যে দেখ নি, তা কী করে বুঝব আমি ? ৩৬২