পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্বন্ধ বলে স্থির বলে মনে করে নিতে পারছে না, স্থিরতর কিছু চায়, জিনিসটার নিজের গুণের জন্যেই খানিকট হয় তো, খানিকটা নিশীথ সেনকে আহত করবার জন্যে । খানিকটা সুলেখাকে ও ব্যাহত করবার জন্যে হয় তো ৮ তেমন স্থির জিনিস অর্চনাকে দিতে পারবে কি হরীত ? হারীত জুতোর ফিতে খুলতে-খুলতে বললে, ‘আজ রাতের কাজটা থাক, অণজ থাক । কী বল অর্চনা ?’ ‘কেন, সাহাপটির দিকে যাবে না ?’ ‘ইচ্ছে করছে না । শরীরটা ভাল লাগছে না’, হরীত বললে । ‘এই তো বেশ বেরিয়ে পড়েছিলে । পাচ মিনিটের মধ্যেই শরীর খারাপ হয়ে গেল ?’ হারীত জুতোর ফিতে খুলে জুতে। দুটো ঠেলে সরিয়ে রেখে বললে, ‘কাল রাত BBBB BBB BB BBBS BBB BBB BBB BB BBBS BB BBB ঘুড়ির নাটাইয়ের মত পাক খেয়েছি চামারপট্টি, কামারপট্টি, সাহাপট্টি, চকবাজার, খ্যাংড়াখেংড়ির শ্মশান—অনেক জায়গায় । নানা রকম সুরাহা হয়েছে কাল । কিন্তু ঘুম হল না আর রাতে । দিনের বেলা ঘুমুলে পারতে আজ ।” ‘গেলুম সুলেখাদের ওখানে । ‘তোমার মায়ের পাশ দিয়ে শুয়ে পড় এখানে হার:ত । খেয়েছ ?” ‘বণতিটা জেলে দেবে ?’ বাতি জ্বেলে সলতেটা ডিম করে তেপয়ের ওপর রেখে দিয়ে অর্চনা বললে, "কী খাবে তুমি ? ‘পেঁপে দিয়েছ তো তুমি । সেটা কেটে খাওয়া যাবে কিছু, গরম দুধ খাব এক পেয়ালা । এখন নয়, রাত দশট-এগারটায় । বসে তুমি । টেম্পরেচার ওঠে তোমার মুখে আজকাল কিছু ? নিজের জায়গায় বসে পা গুটিয়ে নিয়ো অৰ্চনা বললে । ‘উঠত রোজই । একশ, একশ পয়েণ্ট চার, ছয় । তবে বগলে ওঠে নি।’ ‘কাল তো সীরারণত বাইরে ছিলে, দেখলে কখন ?” "থার্মোমিটার অামি সঙ্গে নিয়ে ফিবি ।” ‘তুমি তো কাজে ঘোর । থার্মোমিটার তো না শুয়ে-বসে নেওয়া যায় না । ○と○・