পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ বাড়িতে ।” উঠে দাড়গল জিতেন । সোয়া পাচটা । বাথরুমে চলে গেল । পৌনে ছ-টার সময় ফিরে এল । ছ-টার ভেতর সুন্ট-টাই এটে ফিট হয়ে গেছে সে । নমিত ওঠে নি এখনও ; স্ত্রীর স্ল্যাকসটাকে টেনে দিল কোমর অবধি । ইy ঐ রকম থাক। আশেপাশের বাড়িতে সাধু বাবাজীরাই থাকে। দাশগুপ্তের কণমরার জগনগলা সব খোলা বটে, তবে, নমিতা যেখানে শুয়ে আপছে চারদিককণর কোনো বাড়িরই কোনো দৃষ্টিকোণ এখানে ঠিক মতন কান্নিক মারতে পারে না । যাক গে—দাশগুপ্ত জানালার পর্দশগুলো টেনে দিল । বন্ধ করে দিল দুএকটা জানালা—না হলে রোদ পড়বে নমিতার মুখে । অঘোরে ঘুমুচ্ছে ও । না, জাগিয়ে দেবে না । খাবার ঘরে গিয়ে ঢুকল জিতেন । হাত বাড়িয়ে খেতে গিয়ে দেখল, কোথাও কিছু নেই । বাঃ, টেবিলের ওপরেই ত খাবার ঢাকা থাকে তার । দু-তিনটে ডিশ পড়ে আছে । কিন্তু জিনিস কোথায় ? ডিম কোথায় ? চারটে ডিম ? আলুভাজা কোথায় ? ছটা নৈনিতাল কুচিয়ে ভাজা, ঘানির তেলে ? ইদুর খেয়ে ফেলল সব ? কানাইবাবুর বাড়ির হুলো বেড়ালটা ঢুকেছিল ? টেবিলের উপর এলেমেলো ডিশগুলো ভাল করে সমঝে দেখবার জন্য জিতেন তার ঢাশঙা ঢিলে শরীরটা তাড়াতাড়ি নোয়গল । লম্বা-লম্বা ঠ্যাং ও ওপরের ধড়ের মাঝখানে তলপেটের দিকে নব্বই ডিগ্রিই সার্কিট বেশ টাইট করে দেখতে লাগল জিতেন । চশমা-ৰ্তাটা মুখ ডিশগুলোর এত কাছে ঘনিয়ে এল, মনে হল ওগুলো শুকিছে যেন সে । ক্ষীণ চোখ দিয়ে দেখে নিচ্ছিল ডিশগুলোর একেবারে গায়ের ওপর ডিমসেদ্ধ বা আলুভাজার কোনো ছন্নাংশ কোথাও পড়ে আছে কিনা ; নেই যদি তাহলে এসব হলুদ দাগ কিসের, এসব লাল দাগ বাদামি দণগ ? রাই খেয়েছে কেউ ? মর্মলেড খেয়েছে ? টোম্যাটো খেয়েছে ? দাশগুপ্ত একটা নিঃশ্বাস ফেলে খাড়া হয়ে দাড়াল । চশমা খুলে অন্ধচোখে চারিদিকে তাকাল একবার । চশমা এটে ঘুরে-ঘুরে খুজে পেতে দেখল জোড়াতাড়া দিয়ে পেটে চালাবার মত কোনো জিনিস কোথাও আছে কিনা ৷ নেই কিছু। গ্যাসের স্টেভ রয়েছে । কফি তৈরি করবে ? না, সময় হয়ে গেছে । সিড়ি ভাঙতে লাগল জিতেন । অফিসে গিয়ে খাবার অগনিয়ে নেবে । নিশীথ কী করছে ? ঘুমুচ্ছে ? ভিতরে ঢুকে দেখে এল জিতেন, মশারি २७