পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাগটায় একটা বাকুনি দিয়ে ঘুরিয়ে সেটা টেবলের ওপর রেখে দিয়ে হারীতকে বললে, “কোনো কাজ পেলেন কলকাতায় ?” ין וה" ‘এটা ছেড়ে গেলেন কি এদেশ পাকিস্তান হয়ে গেছে বলে ? ইউনিয়নে যেতে চান ?" 'না, বোধ হয় তা নয়, ইউনিয়নে যাবার জন্যে নয় । চার-পাঁচ বছর ধরেই কলকাতায় কাজ খুঁজছেন তে। তিনি, ভাবছিল হরীত, কিন্তু মুখে কিছু বললে না। চুপ করে রইল । ‘কে ভেবেছিল এ রকম পাকিস্তান অণর ইণ্ডিয়ান ইউনিয়ন—এত সব হবে । হয়ে পড়ল তো সব । ভালই হল । অনেকে মনে করছে নিশীথবাবু ছেড়ে গেলেন, আমাদের একটু জিজ্ঞেস করে গেলেন না।’ ‘কী করতে তোমরা ?’ ‘রেখে দিতাম তাকে ।” ‘কে, তুমি আর অবনী খাস্তগির ? খাস্তগিরকে নিয়ে হরীতও টিটকিরি দিচ্ছে তাকে, কিন্তু মিছেই দিচ্ছে । গণয়ে মাখতে গেল না জুলেখা ; ভাল মনে হেসে বললে, ‘হ্যা আমি, ওয়াজেদ আলি, মকবুল চৌধুরী, ইদরিশ, ইয়ুসুফ— জুলেখা অনেক দূরের একটা সিসু গাছের ওপরের ডালপালার ভেতর পাখি, পাতা, বাতাস, বিভূয়ের সূর্যোজ্জল লুটোপুটির দিকে তাকিয়ে থেমে গেল । ‘আমাদের চার বছর তো পড়িয়েছেন নিশীথবাবু এ কলেজে। বেশ ভাল পড়াতেন তিনি । নিশির ডাকে একটা স্নিগ্ধ তনুবাত পরিমণ্ডলের দিকে চলেছিলুম যেন সে চার বছর। ওপরের কথাটা কিন্তু নিশীথবাবুর মুখে শুনেছিলুম। ঠিক এই রকম বলেছিলেন ? না, বলতে গিয়ে অদল-বদল ভুল করে ফেললুম। আমাকে শুধরে দাও তো হরীত । ‘ঠিক আছে।’ “আজিকাল তো অনেক বই কিনছি-পড়ছি—দেখছি-শুনছি। কিন্তু এই তো দু-এক বছর আগে কলেজ জীবনের যে পাট ফুরিয়ে গেল, সব চেয়ে সেইটাই ভাল ছিল । একটা পুরোপুরি জীবনবেদের মত, সে আর আসছে না । সেই সিসু গাছটার দিকেই তাকাল আবার জুলেখা। এ ঘর থেকে নিম, জাম, Oq8