পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টানিয়ে বেশ আরামে ঘুমুচ্ছে । গ্যারাজ থেকে মোটর বার করে নিজেই চালিয়ে নিয়ে অফিসে চলে গেল জিতেন । সাড়ে আটটার সময় নিশীথের ঘুম ভাঙল । ঘুম আগেও বারবার ভেঙে যাচ্ছিল অদ্ভুত- স্বপ্ন দেখে । ঘুম ভাঙছিল, ঘুমিয়ে পড়ছিল আবার । ঘুমিয়ে পড়ছিল, ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল আবার । স্বপ্নে জিতেন দাশগুপ্তকে জার্মান সিলভারের কাটা-চামচ নেড়ে-চেড়ে মুখভরা শয়তানি ঘনিয়ে তুলে হাসি-হাসি মুখে ডিম খেতে দেখেছে নিশীথ । নিশীথের সমস্ত চালাকি ধরে ফেলেছে জিতেন ; জিতেন ডিম খাচ্ছে বটে কিন্তু সব ডিমই নিশীথ খেয়ে ফেলেছে, বোতলের পর বোতল জেলি খেল, মর্মগলেড খেল, আণচণর খেল, কিছুই খাওয়া হল নী,বলে প্যাকিং পেপারে আলুভাজ্যগুলো মুড়ে,পকেটে ফেলে অফিসে চলে গেল । স্ল্যাকস কোমর আদি উঠে গেল—খুব টাইট করে পরল, ঢল-ঢল হড়-হড় BB BB BBBB BBBB BBBSSSBBBB B S BBB S BBBB BBBBB পরছে ? শ্যামলীই তো । কিন্তু মিসেস দাসগুপ্ত কী করে শ্যামলী হল ? কী করে হল, তণ নিয়ে মাথা ঘামাবার তাগিদ নেই স্বপ্নের নিশীথ রাজো, হয়েছে যে তা নিয়ে বিস্মরের বাষ্পও নেই ; সবই ছায়া, অণবছণয়া, দিনের অণলেণর পৃথিবীর কাঠামোটা রেখে দিয়ে তাকে ঢেলে সাজিয়ে নেওয়ণ খুব ভরা আলোর ভিতরে—আর-এক দেশের, রাত্রির দেয়াল মেঝে ভিত্তিচিত্রের ক্ষেত-মাঠের বধির স্নিগ্ধতার ভিতর দিয়ে, বোশেখের ভরপুর রোদের সিড়ি জানালা বাতাস মির্জাপুরী গালিচার পথ ডিঙিয়ে-ডিঙিয়ে। খোপা খসে যাচ্ছে তোমার—খসে যাচ্ছে তোমার, উঠিয়ে নাও নমিতা—কী বলবে দাশগুপ্ত এ রকম দেখলে ? তুলে নিচ্ছি নিশীথ— এই তো অঁাট করে বেঁধেছি— হয় নি ? না ঢিলে হয়ে গেল ? তুমি কবে এলে নিশীথ ? কবে এলে ?’ বলছে শ্যামলী । হু হু করে বাতাস বইছে, কেমন অন্ধকার হয়ে গেল যেন সব । কেঁদে উঠছে ভানু । এই কি কণচড়াপাডার হাসপাতাল— যক্ষ্মণর ? কণচড়াপাড়ার বেড ? শোনো বলি, কে বলে দেবে আমায় এটা কণচড়াপাড়ার যক্ষ্মণর হাসপাতালের বেড ? ভানু কোথায় ? অন্ধকারের মধ্যে দেখছি না তো । ভানু ? এই, যে বাবা, আমি এইখানে । ঐখানে r ঐখানে ভানু ? কোনখানে ? কোন যে সুদূর মেঘ-আঁধারের প্রতাস্তের থেকে সুর ভেসে এসেছিল ভানুর । কে আপনি ? কী চাচ্ছেন ? কথা বলবার অবসর নেই মশাই, নাকেদমে দৌডুচ্ছি ; না না মশাই এটা যাদবপুরের টি-বি २१