পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে, 'নাম খারাপ হয়েছে নিশীথবাবুর এ জন্যেই।” "নিশীথবাবু তো ইণ্ডিয়ান ইউনিয়নে চলে গেছেন । ‘ইউনিয়নে চলে গেলেই মানুষের সুনাম বাড়ে ? সিগারেট ঠোঁটে আটকে নিয়ে হরীত মুখের আনাচে-কানাচে ভেঙে একটু হেসে বললে । সিগারেটটা পকেটে রেখে দিল সে, রেখে দিল টেবিলের ওপর দেশলাইট, বাক্সটা । ‘ইউনিয়নে চলে গেছেন, ভুলে গেছে মানুষ। তা ছাড়া এতে নাম-খারাপের কী আছে । একটু ঘুরপথের মানুষ নিশীথবাবু। ভালবাসেন । কিন্তু কাকে ভালবাসেন বোঝা কঠিন । হয় তো যাকে ভালবাসেন, সে নারীকে দেখেন নি এখনো। না-দেখে আপসোসও নেই, খুব অশান্তিও নেই মনে, বিশেষ শান্তিও নেই। যাকে ভালবাসে, সে পুরুষকে দেখেছে বটে আচনি ; সোজাসুজি চলেছে, কাজ করেছে, কথা বলেছে । কেমন লাগে অচfনাকে তোমার হারীত ?’ হারীত আকাশের চার-পাচটা সাদা ঝলমলে উড়ন্ত বকের দিকে তাকিয়ে, সেগুলো অনেক দূরে প্রায় মিলিয়ে গেলে, জুলেখার দিকে চোখ ফিরিয়ে বললে, ‘আগমণকেও তো ভালবাসে অচনা ।” ‘তোমাকেও ? অচনা ? ‘বাবার মতন অতটা নয়, কিন্তু’, হরীত শব্দ খুঁজে পাচ্ছিল না । ‘আমি বুঝেছি হরীত, তোমাকে ভালবাসে তোমার বাবার কান টেনে তার মাথাটাকে খুঁজে বার করবার জন্যে’, জুলেখা হাসতে লাগল। ‘সেই জন্যে ? হারাত চোখের সামনে, শূন্যে, এক ফিনকি রোদের ভেতর এক আগধটা মাছির ওড়া-উড়ির দিকে তাকিয়ে থেকে বললে, ‘ও-ছাড়া এমনিই টানে ; এমনিই টান আছে।’ আছে । কিন্তু কী মুল্য—কী রকম—পেতে চাও তুমি তোমার মাসির কাছ থেকে ?” ‘আগমণর মাসি নয় ।' “আচনিগমাসি তো ' “ডেকেছি তাকে মাসি আমি, কিন্তু আজকাল আর ডাকি না।’ ‘ডাক না ? এই তো খানিক আগে বলছিলে ওকে । আমার সঙ্গে খেলা 8 לס\