বলতে-বলতে চেয়ারে এসে হারাত দু-এক মুহূর্ত বসে রইল। উঠে দাড়িয়ে ঘরের ভেতর হাটতে-ইটিতে হরীত বললে, “কিন্তু নিজেরই পথ ধরে যা ত্রিগঙ্গা, তার ভোগবতীর জলও আমার ভাল লাগে । সে জিনিস সহজে নিজের টানে চলে আসে এ রকম কিছু—এ রকম কোনো জল’— জুলেখা আবছায়ার ভেতর নিজের ডান হাতটা ছড়িয়ে দিয়ে সে দিকে তাকিয়ে থেকে বললে, ‘ভোগবতীর জলও— to হারীত ফিরে তাকাল জুলেখার দিকে, জুলেখা চোখ ফিরিয়ে নিল, নীল-কালে তালপাতাগুলোর ওপর অনেক অঝোর বাতাসের দিকে—প্রকৃতির ধ্বনির নানা রকম সব আশ্চর্য নিমিত্তের পানে । ‘কোনো বিবাহিত পুরুষকে কোনো দিন তোমার নিজের দিকে টেনে নিতে চেষ্টা করেছ ?” এ কথা কেন জিজ্ঞেস করছ তুমি ? হণরত পায়চারি করতে-করতে জানালার কাছে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে বললে, “তা থাকলে আমার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে তুমি ।’ ‘ঘরটা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে।’ ‘বাতি জ্বালাতে হবে ।’
- ল্যাম্প কোথায় এ ঘরে ?
‘মার কোঠায় অাছে।’ ‘তা হলে দরজা খুলে ও কামরায় যেতে হবে ? থাক । এখন আটকানো থাক। আমি চলে গেলে খুলে দিও।' ‘অন্ধকারে থাকবে ?” ‘অtমাদের তো কোনো দলিল পড়বার দরকার নেই ।” ‘আমার জীবনটাকে খুলে ধরেছি তোমার সামনে, আচনির কথা বলেছি তোমাকে, সুলেখাকে বলি নি, কাউকেই বলি নি, সুলেখার কথা বলেছি তোমাকে, আচনাকে বলি নি ; তোমার জীবনের পুরুষদের কথা আমাকে বললে না তো তুমি— ‘আমার জীবনে কোনো আচনা নেই। থাকলে কোনো জুলেখা আগাগোড়া সব নাড়ী টিপে বুঝে নিয়ে আমার জীবনে এসে পড়ত, হরীত ? ‘কারে স্বামী-টামিকে ভাঙিয়ে তোমার দিকে টেনে নাও নি তুমি, তারা এমনিই Eసిషి,