পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুভেন্দ্র বললে, ‘প্রথম তোমার সঙ্গে কী করে আলাপ হল কল্যাণী আমিই ভুলে যাচ্ছি।’ কল্যাণী বললে, “আপনি তো সব সময়ই সকলের সঙ্গে আলাপ করছিলেন, আপনার প্রথম অণর শেষ কোথায় ? —তোমাকে মিস গুপ্ত বলেও ডাকতাম, কী বেকুবি— প্রমথ বললে—বেকুবি তোমার এখনই হচ্ছে শুভেন্দু । —‘অণমার ' —“তুমি বডড বাড়াবাড়ি করছ । একটু দমে না গিয়ে শুভেন্দু বললে, 'ব', বৌদির বোনের সঙ্গে আলাপ করব না ? আমি ওর জামাইবাবুর ছোট ভাই— শুভেন্ম বললে, ‘সুরমাদির বিয়েতে তো তুমি যাও নি, গেলে বুঝতে এরা আমাদের সঙ্গে কী রকম ভাবে মিশেছে ।" —‘ওরা কারণ শুভেন্দু ? —‘কেন, কন্যাপক্ষ ? প্রমথ শুরু করলে, ‘কন্যাপক্ষ তোমাদের সঙ্গে বিয়ের সময় যা খুশি করুক গে— কিন্তু কল্যাণীর দিকে তাকিয়ে থেমে যাচ্ছে প্রমথ— ভে দু বললে, “যদি ওর নাম ধরে ডেকে আমি বেয়াদবি করে থাকি, উনিই বলুন । কল্যাণী বললে, ‘আপনি আমাকে নাম ধরে ডাকলেও কিছু হবে না—তুমি বললেও কিছু এসে যাবে না ; জামাইবাবু তো সবই করেন । দুষ্টুমি করে চুল ধরে টানেন, আমিও ওর গল খিমচে দিতে ছাড়ি না, উনি পাল্টে নাক ডলে দেন, আমি তখন কানে হাত দেই, উনি তখন আমার দু গালের মাংস ছি*ড়ে ফেলেন কি আমি ওর ছি*ড়ি—’ প্রমথ স্তম্ভিত হয়ে বললে, ‘সত্যি কল্যাণী ? শুভেন্দু বললে, ‘রগড়-তামাসা আমাদের পরিবারের রক্তে, মায়ের দিক থেকে পেয়েছি, ললিতদা পেয়েছেন তার বাপের দিক থেকে ; ললিতদার ঠাকুর্দী, আমার দাদামশায়ের, ভাড়ামোতে সেকেলে নবাবের বাড়িতে তার খুব খাতির ছিল, বাস্তবিক ফুর্তি বোঝে মোসলমান— প্রমথ চুপ করে ভাবছে। কে সে সৌভাগ্যবান ললিত বাবু—কল্যাণীর চুল 8OS