পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত্রি অনিমেষ কেমন এক পরিচ্ছন্ন গভীর বাতাস ভেসে আসে । অঘ্রান রাত্রির অগণন জ্বলন্ত নক্ষত্রের অালোয় সমস্ত পৃথিবী তার জলঝর্ণার—নগ্ন নারীহস্তের নির্মলতায় নিঃশবেদ উৎসারিত হয়ে উঠছে আগজ । পৃথিবীকে আকাশের মতন মনে হয় ; অণকাশকে সময়ের মতন ; কোথায়ই-বা উদয় হয় নি সে—কোথায়ই বা যায় নি ? সমস্ত আধো আলোকিত সৃষ্টির বুকের উপরে যেন কণর দীর্ঘ নগরী অঙ্গের ছায়া পড়েছে মাঠে—খাদে—বস্তির মরণে—মিনারে— শান্তি-অশান্তির কলরোলে—নগরীর জ্বলায়—মানুষের চোখের ঘুমে । অণকাশে তার কম । বণতা সে—শাদা মেঘের ফঁাকে একটি কি দুটি নক্ষত্রে আলোকিত রাত্রে কোনো সার্থবাহের উটের পাশে কি এই ছায়া— আমার জীবন থেমে আছে, অতএব তাকে নিমেষনিহত ক'রে ? কোনো ক্যাম্পে ঘুমিয়েছিলাম যেন সমস্ত হেমন্তকাল ; জেগে উঠে দেখলাম কোথাও কেউ নেই আর ; কোনো শবদ নেই, কোনো উট নেই ;–উটের ছায়া রয়েছে মরুভূমির অস্ত্রণনের অণলেণশক্তির শাস্ত অপরিমাণ রণত্রে ; কি এক গভীর বাতাসে প্রতিটি নক্ষত্র নিভে নিভে নিভে -অর্ণবণর জ্ব’লে উঠছে সেই নগরীর হাতের নিবিড় মোমের মত । 8ジ○