পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বীকৃতি ও প্রতিষ্ঠানিক সম্মান পেয়ে গেছেন। তাকে নিয়ে সাহিত্যের উদেশ্ব্যবিধেয় মেশানে রাজনীতির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ বিতর্কও ঘটে গেছে কম নয় — সেই বিতর্কে তার স্থৈর্য ও অসূয়াহীন নিরপেক্ষতা আজ বিস্মিত করে। নেহাতই অকালে হলেও, মৃত্যু, জীবনানন্দের কবিচরিত্র্যের আধিপত্য ঠেকাতে পারে নি। যে-জীবনানন্দকে আমরা তার মৃত্যুর সময় দেখেছি, তা যেন ছিল তার সম্পূর্ণ বিকাশ । এবং সেই সম্পূর্ণতায় আমরা আক্রান্ত হয়ে আসছি, তার মৃত্যুর পরও । কিন্তু জীবনানন্দের অপ্রকাশিত রচনা, শুধু আয়তনে নয়, সৃষ্টির মাহীষ্ম্যে র্তার প্রকাশিত রচনার সমান্তরাল হয়ে উঠতে চায় যদি এখন, তা হলে তাকে নতুন করে পড়ে, তার রচনাগুলিকে অগ্নিত করে নিয়ে নিজেদের জন্যে গড়ে তোলা যায় এক নতুন সমগ্ৰতা । সমান্তরাল নয়, জীবনানন্দের সমগ্রতাই জীবনানন্দকে পড়বার প্রধান দণয় হয়ে ওঠা দরকার এখন অণমাদের । পাঠক হিশেবে তা হলে আমরা জীবনানন্দের সমকালীন হয়ে উঠতে পারি। ‘জীবনানন্দ সমগ্র’-এর পরিকল্পনা সেই দণয় থেকেই । হয় ত স্বাভাবিক ছিল, প্রথম থেকেই প্রকাশিত-অপ্রকাশিত মেশানে জীবনানন্দের রচনাগুলিকে কালানুক্রমে প্রকাশ করা । তাতে হয় ত নান সময়ের রচনা দিয়ে তৈরি কাব্যগ্রন্থগুলিতে প্রতিষ্ঠিত র্তার কালক্রমের বাইরে এক নতুন ধারাবাহিকতায় তাকে দেখা যেত ও তার রচনাবলির পর্ব-পর্বন্তর সম্পর্কে ধারণার গণ্ডির বাইরেও যাওয়া যেত। কিন্তু তা হলে অপেক্ষ করতে হত পাণ্ডুলিপিগুলির সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার, বিশেষত কবিতাগুলির নানা খশড়ার গ্রহণ-বর্জনের প্রক্রিয়া বুঝে ওঠা ও জীবনানন্দের কালানুক্রমিক রচনাপঞ্জি তৈরি করে তোলা পর্যন্ত । এই তিনটি কাজে প্রায় বছর দেড়েক যেটুকু এগতে পেরেছি তাতে এখন এ-কথা বলা যায় যে কাজ শেষ করে ‘সমগ্র’-প্রকাশ করলে লেখাগুলি আরো অনির্দিষ্ট সময় অপঠিত পড়ে থাকবে । তার চাইতে বরং পাঠককেও আগমণদের কাজের সঙ্গী করে নেয়া যাক অণর ‘জীবনানন্দ-সমগ্র’-প্রকাশ হয়ে উঠুক প্রকাশ ও পাঠের মিলিত অভিযান । এই ‘সমগ্র’ ক-টি খণ্ডে শেষ হবে—এখনই তা আন্দাজ করা সম্ভব নয়। শেষতম খণ্ডে আমরা জীবনানন্দের রচনার কালানুক্রমিক পঞ্জি প্রকাশ করলে – পাঠক, প্রয়োজনে, এই রচনাগুলিকে সময়ানুগ সাজিয়ে নিতে পারবেন । আর, যদি, 8¢२