পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ভূমিকায় জীবনানন্দের পাণ্ডুলিপি সংক্রান্ত যে-খবর আছে, তা হয়ত মাত্র প্রাথমিক পরীক্ষার ফল। পাণ্ডুলিপিগুলি পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ গল্প-উপন্যাসের সংখ্যা অনেক বেশি । কবিতার রূপান্তরণের প্রাক-প্রকাশ খশড়াগুলি কবিতার পাণ্ডুলিপিকে আরো জটিল করেছে। কিন্তু এই পাণ্ডুলিপির মধ্যে 'মাল্যবান', 'সুতীৰ্থ', 'জলপাইহাট ও আরো একটি উপন্যাস অণকারে এত বড় যে তাদের স্বতন্ত্র মর্যাদা দিতেই হয় । এই চারটি উপন্যাসের মধ্যে আকারে ‘মাল্যবান’ সবচেয়ে ছোট ও জলপাইহাট, বোধহয়, সবচেয়ে বড়, বা, এখনো অপ্রকাশিত চতুর্থ উপন্যাসটির সমান । এই চারটি উপন্যাসই কলকাতায় লেখা, ১৯৪৮ সালে, জীবনানন্দ পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে আসার পর, ১৮৩ ল্যান্সডাউন রোডের বাড়িতে । ‘জলপাইহাট’ উপন্যাসের নামকরণ জীবনানন্দের নয় । তার ভাই অশোকানন্দ দীশ কাগজে বের করার সময় এই নাম দেন । এ উপন্যাসের ঘটনা ঘটছে জলপাইহাটি গ্রামে ও কলকাতা শহরে ৷ পাণ্ডুলিপির দ্বিতীয় খাতাটিতে, প্রথম পাতার উল্টো পৃষ্ঠায়, বা কোণে, খুব ছোট করে, প্রায় পড়া যায় না এমন অস্পষ্ট ভাবে, জীবনানন্দ দুটো শব্দ লিখে রেখেছিলেন । সময়ের ঘাস ও কুলকিনারা । প্রথম শব্দটির দ্বিতীয় পদ ঘাস এত দুর্বোধ্য যে আমরা ভুলও পড়ে থাকতে পারি। এই শব্দদুটো এখানে উপন্যাসের কোনো প্রসঙ্গকে মনে করিয়ে দিচ্ছে না, বা লেখকের লেখার সূত্রে রাখা কোনো লেখনও এগুলো নয় । খাতায় লেখা শুরুর সঙ্গে-সঙ্গেই যেন শব্দ দুটো একটু আলাদা ভাবে লিখে রাখা । উপন্যাসের নোট জীবনানন্দ সাধারণত করছিলেন পাতার মাঝখানে । এ দুটো কথা পাতার একেবারে কোণায় লিখে রাখা । এই সব কারণে অনুমান হয় — উপন্যাসটির জন্যে জীবনানন্দ এই নাম দুটো হয়ত ভাবছিলেন। উপন্যাসের বিষয়ের দিক থেকেও নাম দুটিতে এক অন্য তাৎপর্য আছে। ‘জলপাইহাটি’ এই উপন্যাসের নাম হিশেবে পরিচিত হয়ে গেছে বলে, এই ংস্করণে এই নামটিই ব্যবহার করা হল ।

  • ॉछ আকাঙ্ক্ষা-কামনার বিলাস कू ‘বাল্যরচনা’ বলে চিহ্নিত খাতাটি বাদ দিলে জীবনানন্দের পাণ্ডুলিপির আদি বর্ষ, ১৯৩১। ১৯৩১-চিহ্নিত খাতাগুলির একটি কবিতার, বারটি গল্পের ।

80