পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘সে সব তো নার্সদের হাতে । বেশি দরকার হলে ডাক্তার আগছেন । ইয়ুসুফের ভাই জুলফিকার তো সারাদিন বাড়িতেই থাকে । বাড়িতেই তার অফিস । দরকার হলে ডাক্তারকে ফোন করে দেবে জুলফিকার । বাবা দুপুরবেলা আগমণকে চণন না ।”—নমিতা বললে । বুক পকেট থেকে দেশলাই বার করে সিগারেটটা জগলিয়ে নিল নিশীথ । ‘দুপুর বেলা মোটর ড্রাইভ করে তার ওখানে যে আমি যাই সে হুজোতি মোটেই পছন্দ করেন না তিনি, বলেন এ-রকম করলে তোমার প্যারালিসিস হবে?—বলে বালিকার মত, মুখ-দুষ্ট নির্দোষ যুবতীর মত মুখে, একটু চোখ টিপল, হেসে নিল নমিতা, ‘আজ সগড়ে পাচটার আগে বেরুব না।’ ‘কোথায় যাবেন ? "মfর ওখানে তাসের আডিডা ভেঙে যাবে তখন, না ভাঙলেও তাস খেলব না অগমি । ওরা ফ্ল্যাশ খেলে ।” "ফ্ল্যণশ ? "ফ্ল্যাশ খেলতে শুরু করে মগর বার-ফটকা ভাবটা কেটে গেছে খানিকটা । বসে থেকেও যে নেশা করা যায় টের পেয়েছে ; পান জর্দা কিমণমও খাচ্ছে অণজকাল । ই ফতিকণরউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে বেশি মেলামেশা হচ্ছে—’ নিশীথ খুব আস্তে-অস্তে সিগারেট টনছিল । ‘অণপনি হলে শোবেন অণজ রাত থেকে ।' হলে শোবে অগজ রাত থেকে নিশীথ ? কী করবে ? সিগারেটের ছাই ঝেড়ে উত্তর দিতে যাচ্ছিল । নিশীথ কিছু বলবার আগে নমিতা বুঝিয়ে দিল জিনিসটা তাকে, ‘নীচে তো ফান নেই, খুব বাতাস খেলে হলে—ফ্যাকটরির - বাতাস নয়—নি ঝর্ণরের l'—বলে হাসল নমিতা, টিনের থেকে একটা সিগারেট : বার করে নিল—‘অণর যদি ফ্যাকটরির জিনিস চান, তা হলে হলের দুটো পাখা খুলে শুয়ে থাকতে পারেন । নিশীথ, কথা ভাবছিল । ‘আমি ভাবছিলাম আগমণদের শোবার ঘরের পাশে যে-ঘরটা আগছে সেখানে ঠিক করে দিলে হয় । জিতেন মাঝে-মাঝে ওখানে বাড়ির অফিস করে—রাতে শোয় । ভগরি চমৎকার হাওয়া ঐ ঘরে । মাথার উপর ফ্যান—টেবল ফ্যানও আছে । স্কাইলাইট অনেক । দরজা-জানালা বন্ধ করে শুলেও কোনো অসুবিধা 85