পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*আগমণদের বেয়ারার ।" “জিতেনের এ বাড়িতে আর্দালি চাপরাশি তো খুব কম।

  • হানিফ আছে, রফিক আছে, বিশু, মহিম আছে, বাবু-বিবি অ'ছে। শুমিরা দু জন লোক তো শুধু, আপনার সঙ্গের লাগেজ সবই তো নীচে ? “এই হানিফ !" ড্রয়িংরুমের জানালার কাছে গিয়ে মুখ বাড়িয়ে ডার্ক দিল

নমিতা । 'டி. # ‘হুজুর !" বলতে না-বলতেই দুড়দাড় করে সিড়ি ভেঙে কুড়ি-পঁচিশ বছরের একজন পাঞ্জাবি মুসলমান ছোকরা ড্রয়িংরুমের দরজায় এসে হাজির হল i নিশীথের বিছানা, সুটকেস, সাহেবের দুসরি কামবায় রেখে আসতে বলা হল । ‘লেকপড্যিয় ক্ষু জন মুসলমান আর্দালি রেখেছে দেখছি জিতেন। কোথাকার মুসলমান ? ‘পাঞ্জাবের ।” ‘বিপদে পড়বে না তো ?’ 'না, এখন আর কিছু হবে না । ‘ওদের নিজেদের মনে কোনো ভয়ডর নেই ? ‘কিছু না । নমিতা বললে, ‘একটা কথা আগের থেকে আপনাকে জানিয়ে রাখা দরকার, যে-ঘরে আপনি শোবেন!—দরজায় ছায়া পড়তেই চোখ খুলে তাকগল সে । হানিফ এসে বললে জিনিসপত্তর রেখে দেওয়া হয়েছে বড়সাহেবের ঘরে । সে একটু পার্কসার্কাস যেতে চাইল ইফতিকারউদ্দিন সাহেবের ওখানে । পাচটার সময় ফিরবে । .است ‘কেন ? সেখানে কী আছে ? সাদি ? যিতন কুছ কোশিশ করে। হানিফ— ‘হুজুর, কুছ নেই—লেকিন—হামেশা— ‘অণচ্ছা যাও ।” যে-কথা পাডছিল নমিতা, হানিফ এসে পড়াতে ভেঙে গেল, কথাটি যেন পাড়বে না অঙ্গর নমিত—মনে হল নিশীথের । জানালার ভিতর দিয়ে অনেক দূরের দিকে তাকিয়ে আছে সে, কিন্তু অন্তরিক্রিয় যা-দেখার তা ছাড়া আর-কিছু দেখছে না যেন । কোনো ব্যথা নয়, দুরাশা নয়, ক্লান্তি নয় ; কিন্তু নানা রকম কথা বলার অবক্ষয়ে যে-নিস্তব্ধতা এসে পড়ে মানুষের চোখে-মুখে—পৃথিবীর সমস্ত জিনিসেরই অবসান যে-রকম নিস্তব্ধ (হয়তো নিষ্ফল ) তেমনি নির্বাণ dS