পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভড়কগবে না ।” ‘আপনি তখন ঘুমুচ্ছেন ? ‘ঘুমুচ্ছি হয় তো— “আণপনার কানের কথা আগমণকে বলবে ? “শোনার অনুমতি . রয়েছে বলেই তো কান পেতে আছেন—জানবে না তারা ?’ ‘কী ভাববে তারা ? নমিতা দেবীর সেক্রেটারি ? , “হয় তো জিতেন দাশগুপ্তকে বলছে । কিংবা—’ ‘কিংবা ?’ “নিশীথ সেনকে ।” সিগারেটটা জ্বলে-জ্বলে নিশীথের আঙুল পুড়িয়ে ফেলছিল প্রায় । তবুও সেটাকে ফেলে না দিয়ে আঙলে আটকে রাখল নিশীথ । বেশি দগ্ধাচ্ছিল বলেই, নাকি অন্যমনস্কতায়, হাতের থেকে খসে পড়ে গেল সিগারেটটা— কার্পেটের উপর । তুলে নিয়ে অ্যাশ-ট্রের ভিতর ধীরে-ধীরে ডুবিয়ে রাখল নিশীথ । ‘বেশি রাতে ফোন অণসে আপনার—রোজ রাতেই ? ‘না, রোজ রাতে নয়—তবে কোনো-কোনো সময় রোজ রাতেই ' ‘আপনার ফোন ধরব আমি ; জেগে উঠি যদি ! ‘ফোন এলেও ঘুমোতে পারবেন ? ‘কোনো-কোনো ফোন খুব ভয়কাতুরে—দু-একবার ডেকেই ছেড়ে দেয় । ‘অত রাতে যারা চায় তারা ভয়কাতুরে নয় ; আমাকে না পেয়ে তারা ছাড়বে ? ‘আপনাকে না পেয়ে ? কোথায় আপনি তখন ? ঘুমিয়ে তো আছেন— ‘ঘুমিয়ে আছি, কিন্তু কেউ না জাগলেও, আমাকে না-জাগিয়ে ছাড়বে ন ওরা ? নিশীথ ব্যাহত হয়ে বললে, ‘এই রকম ডাকসাইটে ? ‘কেন দুপুর রাতের ঘুমে এত কী মায়া ? ‘মানুষের দুটো নিস্তব্ধতা আছে পৃথিবীতে—মৃত্যু আর ঘুম, এ ছাড়া আর সবই শেষ পর্যন্ত অজ্ঞেয় ।” 6:S