পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল সূর্যতারার আগুনের মত, তার জন্যে দেশ নেই, সমাজ নেই, কেউ নেই, জীবন নেই তার—মৃত্যু নেই । কলকাতায় যাবার দু-একদিন আগে নিশীথকে বলেছিল সুমন, ‘তুমি ভেt যাচ্ছে কলকাতায়, রাণুকে খুঁজে দেখো তো ' আচ্ছা দেখব?—বলেছিল নিশীথ । কিন্তু দেখবে না, খুব সমীচীন লোক নিশীথ, খুব অল্প সুস্থও বটে ; মিছিমিছি মসজিদে ঢোকবার লোক নয় সে } ঢুকে কোনো লাভ নেই জানে সে ঃ নিশীথ সত্যই জানে যে রানু নেই। ‘আমি কলকাতায় চললাম, সুমন । ‘কোথায় গিয়ে উঠবে ? ‘জিতেন দাশগুপ্তের বাড়ি ।” ‘জিতেনবাবু বিয়ে করেছে শুনলাম— ‘কই আমি তো শুনিনি । কণর কাছে শুনলে ? ও বিয়ে করবে, আমাকে খবর দেবে না ? ‘অণমাকে যতীন হালদার বলেছিল । মগরাহাটির যতীন । কলকাতায় নানা রকম টুকিটাকি কাচামালের ব্যবসা করে ; তা ছাড়া আরও কী বলছিল আমাকে –সুমনা ছড়ানো ডান হাতের উপর কপাল ঠেকিয়ে মাথা ইেট করে মনে করে নিয়ে বললে—‘মনে পড়েছে, বলছিল ব্যাকেলাইটের ব্যৰসা করে, ব। কেলাইট কী ? ‘বাণকেলাইট । জানি না । তো যতীন কী করে জানল জিতেন বিয়ে করেছে ? 'দাশগুপ্ত সাহেবের অফিসে যেতে হয় যতীনকে ব্যবসার কাজে । অফিসের লোকেদের কাছে শুনেছে হয় তো ' শুনে, নিশীথ নিজেকে কেমন একটু কাবু বোধ করল যেন । কলকাতায় যাবার উৎসাহে একটু পোড় লাগল। জিতেন তা হলে বিয়ে করল—ষেল ভরতের বাটুল খেয়ে মাটিতে পড়ে গেছে হনুমান । ‘অাগে ভাল করে দেখেশুনে নাও 1’ ‘খারাপ খবর কখনো মিথ্যে হয় না, লোকটি বিয়ে করেছে এত দিন পরে, শত্রুর ভালর জন্যে নয় নিশ্চয়ই ।” সেটা খারাপ খবর হল । ভাল বন্ধুই বটে তুমি জিতেনবাবুর—