পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘তোমার ওষুধপত্র ইনজেকশন ডাক্তারের ভিজিট সমস্তই মজুমদার আর তার কম্পাউণ্ডার জোৎস্না সিকদার ঠিক করে দেবে । জোৎস্না ছেলে ভাল, আমাদের কলেজে অই-এস-সি পড়ছিল, ছেড়ে দিয়ে কম্পাউণ্ডারি করছে । মজুমদার খুব— ‘সাধু মানুষ । ঘোড়েল মানুষও বটে—’ ‘কেন বলছ সুমনা ? ‘না হলে পাচশ টাকা নেয়—’ নিশীথ কাগজ পেন্সিল নিয়ে হিসেব কষে দেখাতে গেল সুমনাকে, পেন্সিল ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সুমন বললে,—‘কোনো দরকার নেই হিসেবে আমার ? জোচেচার যত সব—' ‘তা হলে কি, টাকাটা ফিরিয়ে আনিব ? দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে—সেই মুখে উল্কি কেটে শেয়ালের মতন ? 'তা মুখে উল্কি কেটেছি বটে। কী রব । কলকাতায় যাওয়া বন্ধ করে দিই।’ সুমনা কিছুক্ষণ ঘরের কোণে-কোণে আট-দশ বছর আগের পুরনো শিশি বোতলগুলোর উপর মাকড়সার পাতা জগলের রাশি-রাশি নিলিপ্তির দিকে তাকিয়ে থেকে অৰসন্ন হয়ে বললে, ‘কলকাতায় না-গিয়ে কী করবে এখানে বসে ? কলেজের কাজে ইস্তফা দিয়েছ না ? ‘না দিইনি এখনো । ছুটি নিয়েছি । ‘নিয়েছ ? মঞ্জুর করেছে ? ‘এখনো জানতে পারিনি কিছু দরখাস্ত দিয়েছি । ‘তোমাকে ওরণ তাড়িয়ে দেবে ।’ ‘দিক ।” ‘তা হলে এখানে বসে করবে কী ? ভানুকে তে কঁাচড়াপাড়ায় পাঠিয়ে দিলে । সে খরচ পোষণবে কী করে ? ‘টাকা দিয়ে দিয়েছি কিছু । মাসখানেকের ভিতর দরকার হবে বলে মনে হয় না ।" ‘আমার দেড়শ টাকা আগমণকে দাও । টাকাটা হাতে নিয়ে একটু হাসি ফুটে উঠল সুমনার মুখে —‘কেন পড়ে থাকবে তুমি জলপাইহাটতে । মজুমদার ডাক্তার তাল, বুড়ে মানুষ অসৎ (استان)