পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হবে না । পাচশ টাকা পেয়েছে—আমার একটা হিল্লে করবেই । আমার জন্যে ভেবো না । মহিমবাবুর স্ত্রী, ছেলে, ঘোষালমশাই নিজে, জ্যোৎস্না সিকদার, জিতেন সবাই তো রইল, তুমি কলকাতায় চলে যাও কালই । সুবিধে হবে সব দিক দিয়েই দাশগুপ্তের বাড়িতে । ওখানেই উঠে । জিতেন দাশগুপ্তকে বলে একটা চাকরি বাগিয়ে নিতে হবে—যত তাড়ণতাড়ি পারেণ । ইচ্ছে করলে ও খুব বড় পোস্টে বসিয়ে দিতে পারে তোমাকে । ওর নিজের অফিসই তো আছে ।” নিশীথ পেটে-পেটে হাসছিল—আজকের পৃথিবীর লোকায়তের বন্ধ রুখে তালপাতার সেপাইয়ের এই কথামৃত শুনতে-শুনতে । কিন্তু সম্প্রতি চোখ বুজে স্ত্রীর দিকেই তাকিয়েছিল । বিন্দু-বিন্দু বিষন্ন হাসিতে অন্তঃস্থল ঘামিয়ে উঠছিল তার, মৃত্যুশয্যায় মাথা পাতা সাদামাটা এই ঘোর বিশ্বাসী মানুষটির কথা শুনে | ‘কলকাতায় গিয়ে আর-একটি কাজ করে তুমি । রানুকে খুঁজে বার করতে হবে”—সুমনা বললে । রায় যে কলকাতায় নেই, কোথাও নেই যদিও-বা কোথাও থেকে থাকে সেখানে যে মনপবন ছাড়া আর কারোরই প্রবেশ নেই এ কথা সুমনাকে কী করে বোঝাবে নিশীথ । ‘যুঁজে দেখব রানুকে । 'আমাকে ছুঁয়ে বলে, বাপ যেমন মেয়েকে খোজে তেমনি করে খুঁজে বার করবে ।”

  • ছুয়ে বলছি বটে কিন্তু বাপের চেয়ে মায়ের মনই তো ছেলেমেয়েকে খোজে বেশি, মা যেমন মেয়েকে খোজে তেমনি করে, তোমাকে ছুঁয়ে বলছি, রানুকে খুঁজে দেখব আমি । কেমন একটা আশ্চর্য হাসি-হাসির ভিতরে এক-অধিছিটে রক্তের কণাও যেন

এল সুমনার ফ্যাকাশে মুখে— ‘নাখোদা মসজিদে দেখবে ।’ ‘কণকে ?’ ‘রানুকে । ‘কে বললে সে সেখানে আছে ?” &Ꮛ