পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের মন আলোকিত করতে পারে না (দু-একজন সৎ ও মনীষীর মন ছাড়া) মানুষকে আশা, ভরসা, প্রতিশ্রুতি, শান্তি দিতে পারে না কিছুই । এ-রকম উপলব্ধির কোনো যাথার্থ্য আছে বলে মনে করত না দু-চার বছর আগে নিশীথ। কিন্তু এখন করে । এখন সে মানে যে এ যুগে এর চেয়ে যাথার্থ্য আর-কিছু নেই। এ যুগে ক্ষয়িত হওয়াই স্বাভাবিক—মৃত হওয়া, নির্বাপিত হওয়া—অবক্ষয় উত্তীর্ণ করে ক্ষেম সূর্যের মুখ দেখাকে অপর যুগের সুস্থির সত্য বলে গ্রহণ করা চলতে পারে। কিন্তু সেই অপর যুগ কি এমনি-এমনি আসবে ? ক জন লোক চেষ্টা করছে সেই যুগকে লাভ করতে ? কী প্রণালী তাদের ? কোথায় সেই পদ্ধতি একটা শুদ্ধ বড় শতাব্দীকে নিয়ে আসতে হলে, পুথিবীব্যাপী থে-সাড়া পড়ে থায় । কোথায় সেই আশা ভরসা নিঃস্বার্থতা ? আসল বোমাটা এর হাতে আছে বটে, কিন্তু ওর হাতে আছে কিনা এই তাড়নায় তো আজকের পৃথিবী পঙ্গু । শু আমেরিক বা রাশিয়া নয়— এশিয়াল --অামাদের দেশেও পদ্মানদীর এপারে-ওপারে, রাষ্ট্রে, সমাজে, পরিবারে ‘ম'-কে বাহত করবার কৌশল জন। অাছে ‘ক’-এর । জানা আছে কি ‘খ’-এর-‘ক’-কে বেচাল করবার কৌশল শুধু নয় অ? সিদ্ধি ? মনের তপঃশক্তিতে মেশিনকে ৮ লতে পারত হয় তো মানুষ, কি স্তু মানুষকে ছুটিয়ে চালাল মেশিন, মানুষকেই চালাল সে, যন্ত্রকে ব বহার করবার মত সততা ও মনীষা হারিয়ে ফেলেছে মানুষ । এই সবই তবে আজকের পৃথিবীর নিহিত সত্য, কত কাল পর্যন্ত ভবি ,ং পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করে থাকবে কে জানে । তাই যদি হল তা হলে ইতিহাসে যে-সব আলোড়নের যুগ কেটে গেছে, বিলোড়নের দিনকাল আসবে বলে মনে হয়, সবই শেষ পর্যন্ত মৃত্যু, দ্বেষ ও পতিতের ধর্মেই আবর্তিত হচ্ছে শুধু, তখন ইতিহাসের বিষ ও সোমরসের দিকে তাকিয়ে অতীত বা ভবি ব্যুৎ সমাজের অমৃতত্ব ঘোষণা করে কী লাভ ? কোনো বড় ঘোষণারই কোনো মানে নেই । মনীষীরা অবিশ্ব্যি ভাল বই লিখবে, নেতারা বিমিশ্র ভাষার কাচা বিবৃতি দেবে—পাকাতে পারবে, কবি-বিজ্ঞানীদের একটা বড় স্বৈরী অংশ সূর্য-স্বপ্ন দেখবে । কিন্তু সাধারণ মানুষ মরে যাচ্ছে ; পৃথিবীর থেকে শেষ বিদায় নেবার আগে হিংসার পরিবর্তে হিংসা ফিরিয়ে দেবার বি জাতীয় লোভে দুর্বল ੱਠੇ কেঁপে উঠছে কারু ; রিরংসাকেই জীবনে সফল করে ভয়াবহ বৃষ-গদানের とq