পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘হরীত অসবে ? কোথায় সে ?’ ‘কোনো খোঁজখবর পাই নি । যদি অণসে এখানেই থাকতে বলে তাকে । সুমনার একট। এসপার-ওসপার কিছু হয়ে না-যাওয়া পর্যন্ত । নিশীথ একটু ভেবে বললে, ‘অন্তত আমি ফিরে না-আসা পর্যন্ত—' ‘কোথায় আছে হরীত ? * জানি না । তবে আমি বাড়ির থেকে বেরিয়ে গেলে সে বাড়িতে ফিরবেই এক বার । ক ত দিন অস্তি না গেড়ে থাকবে বলতে পারছি না । তবে অসেবেই —আমি বেরিয়ে গেলে—শীতের শেষে কুমের পোকার মতো একটা ছাদ। খুঁজে নিতে এ দেশে । ওকে বলে-কয়ে রেখে দিও তো ওর মার কাছে— অৰ্চি তার দিকে তাকিয়ে নিশীথ বললে । ‘মার এ-রকম অবস্থা দেখলে এমনিই থাকবে । তুমি চলে না-গেলে ও ঘরে ফিরবে না, বাপে-ছেলেতে এই রকম সম্বন্ধ ! অণজীবন মাস্টারি করে কী শেখালে—কী হল তোমার ? কী ছেলে তুমি নিশীথদণ । * এই তো হল, যা দেখছ সব হল ।” শুনে সুবিধায় লাগল না অর্চিতার ; অর্চিতার দুটো ভুরুর নীচে দুটো ভাসাভাসা শ Fরীকৃত পথে চারিদিককার আকাশ-বাতাস, ঝাউ, জারুল, শিশু, শিমূল তুলোর শাদ আকাশযান জামিতির বাধা উপচে পড়া কেশরাশির মত ঘরদের পুকুরের টলটলানি । চারিদিকে কাকের ডাক, কেবলই হাত থেকে ফসকে দোয়াতের কালি ছিটকে-পড়ার মত নষ্ট দিন । মৃত ভাড়ার, নতুন ফসল, সার্থক ঋজু অন্ধ রাত্রি, খেলে খেতে লাগল । ‘ভানু কাচড়াপাড়ায় কেমন আছে ? ‘নাঃ বিশেষ ভাল না । বেঁচে উঠলেও অাশান হওয়া কঠিন, আঠার ঘা লেগে থাকবে । যক্ষ্মণ রুগি তো '—নিশীথ কথা বলতে-বলতে অণধে। ই৷ করে রইল—একটা ভরত্নপুরের দাড়কাকের মত । 'যক্ষার নতুন-নতুন ওষুধ বেরুচ্ছে, আগের মতন নেই—ও ঠিক হয়ে যাবে সব |" নিশীথ কোনো কথা বললে না । তোমাদের তো করে এই রোগ ছিল না কোনোদিন । বৌদির বাপের বাড়ি ছিল ?’ දෘථ