পাতা:জীবনানন্দ সমগ্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অীর-তো—’ দূরে মহিমের ছায়া দেখা গেল, লম্বা-চওড়া, খালি গায়ে, পিঠে পৈতে— লজিক হাতে । মহিম এদিকে অপসতেও পারে—না ও অণসতে পারে । নিশীথদের দিকে পিঠ ফিরিয়ে—একটা অদৃশ্ব শুড়ি তুলে অাছে যেন বাতাসের ভিতর । হাতির কণয়দা । দল ছাড়া হাতিও বটে । নিশীথদের গন্ধ নাকে গেলে কী করবে বলা যায় না । তবুও এমনই বেকুব নিশীথ যে করমচা জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে ঘণ্ট। দুই কাটিয়ে দেবীর কথা ভাবতেও গেল না । নিশীথ এখানেই দাড়িয়ে আছে, মহিম ওখানেই দাড়িয়ে আছে । চমৎকারচমৎকার স্যাণ্ডউইচের মশলা মনে করতে লাগল অৰ্চিতা নিজেকে (সুমন তাকে বছর দুই আগে ডিম-পাউরুটির স্যাণ্ডউইচ বানাতে শিখিয়েছিল ) । জিনিসটাকে খুব ক্ষমার চোখে দেখলে নিজেকে মশলার পুর মনে করে একটা উভুঞ্চে তামাসা বোধ করা চলে বটে। কিন্তু সে-চোখে সে দেখছে না । সমস্ত দোষ নিশীথেরই । বিষাক্ত চোখে সে নিশীথের দিকে তাকগল । টের পেল নিশীথ । মহিমের শু"ড়ও গন্ধ পেয়েছে যেন । অৰ্চনা ও শাড়িটা ভাল করে জড়িয়ে সড়িয়ে সাবধান হয়ে সরে দাড়াল । যেন তুমি সাপ বেীমা ।”—অর্চিতার দিকে তাকিয়ে নিশীথ বললে । ‘তার মানে ? অামাকে বৌমা বলছ কেন ? ‘সাপও তো বলেছি। তার চেয়ে বড় গাল হল বৌমা বলা ? ‘সাপ ?’ ‘সাপ | চমকে গিয়ে তেজ বেঁধে সরে দাড়ালে তো সাপের মত খুব হুশিয়ার হয়ে ? যেন ধুলে উড়ে আসছে অনেক দূরের থেকে । মহিম! ও মহিম । —নিশীথ গলা ছেড়ে ডাক দিল । কিন্তু অচিতা ও নিশীথ কেউই দেখেনি—লজিকের বই হাতে নিয়ে মহিম অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। এই বারে মোড় ঘুরে বিশুদের কুল-তেঁতুলগাছের ভিতরে অদৃশ্ব হয়ে গেল ; খুব সম্ভব বনবিহারীবাবুর ছেলেকে লজিক বুঝিয়ে দিতে যাচ্ছে । বনবিহারীবাবু কলেজ কমিটির খুব ঠাটারি মেম্বার । তার ছেলেকে লজিক-সিভিকস পড়িয়ে দেবার সুবুদ্ধি মাঝে-মাঝে চেপে বসে মহিমের মাথায় ; বিনি পয়সায় পড়ায় । বিনিময়ে সে কোনো পুরস্কার Գ(է