পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* জীবনী শক্তি। রোগীটীর মুখে একটু জল দেয় এমন লোক নাই।” বন্ধুবর ডাক্তার ব্ৰজেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একটী সামান্য গল্প বলিয়াছিলেন। তাহা যখনই মনে হয়, তখনই সভ্যতাকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছা হয়। তিনি যখন এলাহাবাদে ছিলেন, তখন তথায় একটী উচ্চপদস্থ ইংরাজ কৰ্ম্মচারীর ওলাউঠা রোগ হয়। র্তাহার মেম ব্ৰজেন্দ্র বাবুকে চিকিৎসাৰ্থ আহবান করেন এবং যতবার ইচ্ছা আসিয়া দেখিয়া যাইবেন, এই বলিয়া বাড়ীর এক মাইল দূরে অবস্থিত একটীি বাড়ীতে রোগীকে রাখিয়া আসেন। ব্ৰজেন্দ্র বাবু যতবার রোগীকে দেখিতে যাইতেন, তাহ মেমকে অবগত করাইয়া আসিতেন। দেখা শুনা ও শুশ্ৰষ্যাদির ভাৱ দাস দাসীর উপর ন্যস্ত ছিল । ডাক্তারের টাকাও মেম সাহেব দিতেন। ইহাতে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, রোগের আক্রমণের ভয়ে সেই যুবতী তাহার স্বামীকে পরিত্যাগ করিয়া দূরে অবস্থিতি করিতেন। ইহা কিরূপ মানক্ষিক ভাব ! সাবধান হওয়া যেমন উচিত, রোগীর সেবা শুশ্ৰষা করাও কি তেমনি কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়া মনে করা উচিত নহে? মনের বল একটী বিশেষ শক্তি। এই শক্তির প্রভাবে আমরা অনেক সময়ে উৎকট পীড়ার হস্ত হইতে অব্যাহতি লাভ করিতে পারি। আমাদের দেশে এই শক্তিটী বিশেষভাবে প্রকাশ পাইয়াছিল। আজও যে আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করিতে সমর্থ হইতেছি, আমাদের এই মনের বলই তাহার প্রধান কারণ। অতএব এই শক্তিটী যাহাতে রক্ষিত হয়, তাহার জন্য বিশেষ যত্ন করা উচিত। এ দেশে প্ৰথমে যখন প্লেগের আবির্ভাব হইল, তখন কোন চিকিৎসকই এইরূপ রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে