পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਜੈ ਰਿ| পড়েন। আমাদের দেশের চিকিৎসকেরাও যশ ও অর্থ উপাৰ্জর্নার্থ শারীরিক ও মানসিক শক্তির এতদূর অপব্যবহার করেন যে, অল্প দিনের মধ্যেই তঁাহারা অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়েন। তঁাহারা মনে করেন, এ ব্যবসায়ে তঁহাদের দায়িত্ব অধিক, সুতরাং শরীরের প্রতি দৃষ্টি রাখা সম্ভবপর নহে। ইহা সম্পূর্ণ ভ্ৰমাত্মক। নিয়মিত সময়ে আহার গ্রহণ ও পৰ্যাপ্ত পরিমাণে শ্ৰান্তি দূর করিয়া কাৰ্য্য করিলে তাহারা অনেক দিন সুস্থ ও সবল থাকিয়া নিজ কাৰ্য্যের উন্নতি সাধন ও পরোপকার ব্ৰত উদযাপন করিতে পরিবেন, নতুবা তঁহাদের শরীরের শক্তি নষ্ট হইয়া যাইবে এবং তাঁহারা অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হইবেন। ^ পৃথিবীতে সকল দিকেই সঞ্চায়ের চেষ্টা দেখিতে পাওয়া যায় । সাধারণতঃ অর্থসঞ্চয়, রাজার শক্তিসঞ্চয়, বাণিজ্যে পণ্যদ্রব্য সঞ্চয়, এমন কি, গৃহকৰ্ম্মেও সঞ্চায়ের প্রাদুর্ভাব দেখিতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে কেবল শারীরিক শক্তিসঞ্চয় ও শরীররক্ষার দিকে তত চেষ্টা দেখিতে পাওয়া যায় না । ইহা বড়ই পরিতাপের বিষয়। এই জন্যই আমাদের সুতীক্ষ্ণ ধীশক্তি ও বিশেষ চেষ্টা থাকিলেও আমরা কোন বৃহৎ কাৰ্য্য সাধন করিতে পারি নাই। ইহার ও ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত দেওয়া যাইতে পারে। ধৰ্ম্মবীর কেশবচন্দ্ৰ সেন যখন সাধনা ও প্রচার কাৰ্য্যে যত্ন ও পরিশ্রম করিয়া দেশের উপকার করিবার উপযুক্ত হইলেন, তখন তিনি শক্তিক্ষয় জন্য অকৰ্ম্মণ্য হইয়া সংসার পরিত্যাগ করিলেন। কৰ্ম্মবীর কৃষ্ণদাস পাল যখন স্বীয় অধ্যবসায় ও প্ৰতিভার বলে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যশোলাভ করিলেন, যখন সকলেই তঁহার