পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপকার বলিয়াই গণ্য করা যায় না। কিন্তু রুগ্ন ও দুর্বল ধাতুর লোকের ইহাতে প্ৰভূত অনিষ্ট হইয়া থাকে। আর এক কথা এই যে, চৰ্ম্মের নীচে কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্ৰন্থি (গ্ল্যাণ্ড) আছে। সেই গ্ৰন্থি সকল হইতে তৈলবৎ পদার্থ নিৰ্গত হইয়া চৰ্ম্মকে মসৃণ ও তৈলাক্ত করিয়া রাখে। ইহাতে চৰ্ম্ম অধিক শুষ্কতা প্রাপ্ত হয় না, সুতরাং তাপরক্ষণে সমর্থ হয়। স্নান দ্বারা এ ক্ষমতার লোপ করিলে গাত্র খসখসে হয় এবং সর্বদা সর্দি হইয়া থাকে। তৈল মাখিয়া স্নান করিলে এ অসুবিধা কতক পরিমাণে দুৱা হয় বটে, কিন্তু সম্যকৃরূপে হয় না, সুতরাং যে সকল লোক সৰ্ব্বদা স্নান করেন, তঁহাদের তৈল মর্দন করা উচিত। আজ কাল পুরি, ওয়ালটেয়ার প্রভৃতি সমুদ্রতীরস্থ স্থানসমূহে অনেকে বায়ুপরিবর্তনের জন্য গমন করেন এবং তথায় সমুদ্রে স্নান করিয়া থাকেন। সকলেরই বিশ্বাস, সমুদ্রজলে স্নান করিলে শরীর বলশালী হয় এবং আরাম বোধ হইয়া থাকে। ইহা কতক পরিমাণে সত্য বটে। সমুদ্রজলে বৈদ্যুতিক তেজ (ম্যাগনেটিক পাওয়ার ) অধিক পরিমাণে থাকে, সুতরাং ইহা শরীরকে শক্তিহীন করিতে পারে না। আমি প্ৰত্যহ সমুদ্রে স্নান করিয়া দেখিয়াছি এবং তাহাতে উপকারই পাইয়াছি। প্ৰাতঃকালে ৯টা বা ১০টার সময় সমুদ্রজলে পড়িয়া স্নান করা উচিত। অধিক সন্তরণ বা অধিকক্ষণ জলে থাকা কৰ্ত্তব্য নহে। তাহাতে স্নানের উপকারিতার হ্রাস হইয়া আইসে এবং শরীর নিস্তেজ হইয়া পড়ে। অতি প্ৰত্যুষে স্নান সকলের পক্ষে উপযোগী নহে। ইহাতে সর্দি, কাশি প্রভৃতি হইতে