পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। Šs পরিশ্রম করিয়া চিকিৎসাশাস্ত্ৰে যে জ্ঞান ও বুৎপত্তি লাভ করিয়াছ, ব্যাধির পীড়নে তাহা কাৰ্য্যে পরিণত করিতে পরিবে না, হয়তঃ অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হইবে ও সকলই নষ্ট হইয়া যাইবে। তোমার সুবিধামত একটা সময় স্থির করিয়া লইবে এবং প্ৰত্যহ সেই একই সময়ে আহার গ্ৰহণ করিবে এবং উপযুক্তরূপ বিশ্রাম করিবে। এইরূপ আহারের নিয়ম প্রতিপালন ও উপযুক্তরূপ বিশ্রাম করিলে তুমি রোগমুক্ত হইয়া দীর্ঘ জীবন লাভ করিবে এবং তোমার পরিবারের, দেশের ও সাধারণতঃ সকলেরই উপকার করিতে পরিবে। এই মহাত্মার প্রদত্ত এক মাত্ৰ ঔষধ সেবন করিয়াই আমি রোগমুক্ত হইলাম এবং তঁহার আদেশমত আহারাদির নিয়ম পালন করিয়া অদ্যাবধি ( প্ৰায় ১৯ বৎসর ) সুস্থ ও সবল শরীরে রীতিমত কাৰ্য্য করিতে পারিতেছি, আর রোগ প্ৰকাশ পায় নাই। আমি যখন র্তাহার নিকটে গিয়াছিলাম, তখন তাহার বয়স ৭৫ ব। ৎসর হইয়াছিল। তঁহার শরীর সুস্থ ও সবলকায় যুবকের শরীরের মত দেখিয়াছিলাম। তিনি শারীরিক স্বাস্থ্যের নিয়ম। এত যত্নে পালন করিতেন যে, তঁহাকে লোকে পাগল বলিয়া উপহাস করিত । ৮৪ বৎসর বয়সে তিনি ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছেন। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বেও তিনি গভীরগবেষণাপূর্ণ পুস্তক ও প্ৰবন্ধ রচনা করিয়া গিয়াছেন। অতঃপর আহারীয় দ্রব্যাদির বিষয় লিপিবদ্ধ করা যাইতেছে। এতদেশীয় প্রাচীন পণ্ডিতেরা এ বিষয়ে যে মত প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছেন, তাহ অতীব যুক্তিপূৰ্ণৰ খাদ্যদ্রব্যগুলিকে তাহারা তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছেন-সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক ।