পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R चौबनौं खिँ। শরীরের উপরে ইহাদের ক্ষমতাদির বিষয় ওঁ বর্ণিত হইয়াছে। ভাগবত গীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ অ ৰ্জ্জুনের নিকট এই সমস্ত থাহ্যিাদির বিষয় বিশেষরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। এই বর্ণনায় দেখিতে পাওয়া যায় যে, সাত্ত্বিক খাদ্যেই 'শরীর ও মন অতিশয় সুস্থ ও সবল থাকে, এবং ধৰ্ম্মভাব উদ্দীপিত হইয়া উহাদিগকে পবিত্র করে। রাজসিক খাদ্য তাহার অপেক্ষা ਜਿਏ ! ठीश्igड শরীরও ۔ ধৰ্ম্মভাবও তত উদ্দীপিত হয় না । তামসিক খাদ্য আরও নিকৃষ্ট । পরিশ্রম করিলে শরীর ক্লান্ত হয়, শারীরিক অণু সমুদায় ক্ষয় প্ৰাপ্ত হয়। এই ক্ষয় পুরণ করিয়া শরীর রক্ষা করিতে হইলেই খান্ত গ্ৰহণ করা আবশ্যক হইয়া উঠে । ইহাই খাদ্যগ্রহণের প্রকৃত উদ্দেশ্য। জিহবার তৃপ্তিসাধনও আর একটী উদ্দেশ্য বটে, কিন্তু প্ৰথমটী অর্থাৎ শরীরের শক্তিক্ষয় নিবারণই প্ৰধান। এমন অনেক খাদ্য আছে যাহাতে জিহবার তৃপ্তিসাধন হয়, কিন্তু পরিপাকসম্বন্ধীয় অনেক পীড়া উপস্থিত হইতে পারে। অতএব তাহ খাদ্যরূপে গ্ৰহণ করা। কৰ্ত্তব্য নহে। দেশের অবস্থা এবং লোকের কাৰ্য্যাদির উপরে খাদ্য নিৰ্বাচন অধিক পরিমাণে নির্ভর করিয়া থাকে। যে দেশের যেরূপ জলবায়ু এবং যেখানে লোকে যেরূপ কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত থাকে, তথায় খাদ্যদ্রব্য সেইরূপেই নিয়মিত হইয়া থাকে। এই বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করিয়াই খাদ্যদ্রব্য স্থির করিতে হয়। খাদ্যদ্রব্য ও আহার গ্ৰহণ সম্বন্ধে যে সকল কথা বলা হইল, আমাদের দেশে তাহার কিছুই প্ৰতিপালিত হয় না। যাহারা সামান্য ডাইল ভাত, তরকারি, দুগ্ধ, মৎস্য প্রভৃতি সহজ খাদ্য গ্ৰহণ করেন, তাহারাই আহারের দোষজনিত কোন পীড়ায় বড় কষ্ট ভোগ করেন ।