পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। Vy রোগ উৎপন্ন হইয়া থাকে। চা-পানে ক্ষুধা নষ্ট হয় এবং উদরে প্রভূত বায়ু সঞ্চিত হইতে দেখা যায়। চা-পানের দোষে যে এরূপ হইতেছে তাহা মনে না করিয়া, লোকে অন্য কোন বস্তুর প্ৰতি দোষারোপ করে। অনেকের বিশ্বাস, চা শরীরের ধ্বংস নিবারণ করে। আপাততঃ ইহা সত্য বলিয়া বোধ হয়,কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে। চা শরীরধবংসজনিত পদার্থগুলিকে বাহির হইয়া যাইতে না দিয়া অন্য স্থানে সঞ্চিত করিয়া দেয় এবং এইরূপেই বাত বা গাউট রোগ প্ৰকাশ পায় । চা-পানে রক্তাল্পতা বা এনিমিয়া রোগ উৎপন্ন হইয়া থাকে। এই উপলক্ষে আমাদের একটন যুবকের কথা মনে পড়িল । তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, “কোন কারণ নাই, রোগ নাই, অথচ শরীর দুর্বল হইতেছে ও রক্তাল্পতা প্ৰকাশ পাইতেছে কেন ? আমি অনেক অনুসন্ধানে জানিলাম যে, তিনি চা-পানে অত্যন্ত আসক্ত। তাঁহার চা-পান বন্ধ করিয়া দিলাম এবং ঔষধ সেবন না করিয়াও তিনি ক্ৰমে ক্রমে সুস্থ হইয়া উঠিলেন। আমাদের একজন রোগী বলেন যে, চা পান করিলেই তঁহার মাথাধরা ছাড়িয়া যায়। ইহা অভ্যাসের জন্যই হইয়া থাকে। আফিংখোরের আফিং না খাইলে অনেক প্রকার কষ্ট অনুভব করে, আফিং খাইবামাত্র তাহা দূর হয় বলিয়া কি আফিং খাওয়াকে মন্দ অভ্যাস বলিব না ? চা সম্বন্ধেও তাঁহাই ঘটিয়া থাকে। অতএব আমাদের পরামর্শ এই যে, এরূপ মাথাধরার রীতিমত চিকিৎসা করা উচিত। সাময়িক উপকারের জন্য চা-পানের দাস হওয়া কোন भङई ॐडि नाश्।