পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* জীবনী শক্তি । ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব ডাক্তার বাবুর ভূয়সী প্ৰশংসা করিলেন, এবং খলিলেন, এরূপ চিকিৎসক অতি অল্পই দেখা যায়। কোন সময়ে একজন হাইকোর্টের জজ পীড়িত হইয়া স্বাস্থ্যলাভের জন্য “এক স্বাস্থ্যকর স্থানে অবস্থান করিতেছিলেন। আমরা সেই সময়ে তথায় গিয়া কিছু দিন ছিলাম। একদিন তাহাকে দেখিতে গেলাম। দেখিলাম, তিনি বড় দুর্বল হইয়াছেন, অল্প অল্প জর হইতেছে, ক্ষুধা কিছুমাত্র নাই, রক্তাল্পতা জন্য পদদ্বয় ও চক্ষুর পাতা প্ৰভৃতি ফুলিয়াছে। জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, ঘঅনেক প্রকার ডাক্তারি ঔষধ সেবন করিতেছেন, কিন্তু কোন ফল হইতেছে না, বরং রোগের বৃদ্ধিই হইতেছে। আমি তাহাকে সমস্ত ঔষধ পরিত্যাগ করিতে উপদেশ দিলাম এবং বলিলাম, যদি রোগ বৃদ্ধি হয়, তাহা হইলে তাঁহাকে রোগমুক্ত করিবার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করিব । তিনি আমার কথায় বিশ্বাস করিয়া ঔষধ সেবন বন্ধ করিলেন। পাঁচ ছয় দিন পরে তঁাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, রোগ কমিতে আরম্ভ করিয়াছে। তিনি আমার ‘কথায় আস্থা স্থাপন করিয়া রহিলেন এবং এক মাসের মধ্যে এরূপ সুস্থ হইয়া উঠিলেন যে, আমাদের সঙ্গে বেড়াইতে লাগিলেন। তিনি বলিলেন যে, এক সপ্তাহের মধ্যে জর ছাড়িয়া গিয়াছে ও ক্ষুধা অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছে। ঔষধ বন্ধ করিয়া দিলে যে এত উপকার হয়, তাহার্তাহার জীবনে তিনি কখন প্রত্যক্ষ করেন নাই। খাই প্ৰকল্প পরামর্শ দিয়াছিলাম বলিয়া তিনি আয়াকে ধন্যবাদ দিয়া খলিলেন, সামান্বত মস্তিক্ষে এ প্রকার জ্ঞানলাভ সম্ভবপর নহে। চিকিৎসাবিভ্ৰাট সম্বন্ধে কিছু লেখা এ পুস্তকের উদ্দেষ্ট নহে।