পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

68 জীবনী শক্তি । মানসিক ক্রিয়া দ্বারাও এইরূপ শরীরীক্ষয় হইয়া থাকে। * धेरै নিবারণ করিতে পারিলেই অধিক দিন বঁাচিতে পারা যায়, আর তাহ না হইলেই শরীর ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। আহার, বিশ্রাম, রৌদ্র, ও বায়ু প্রভৃতির সহায়তায় আমরা এই ক্ষতি পুরাণ করিতে সমর্থ হইয়া থাকি। এ সমুদ্রায় নিয়মমত না পাইলে শরীর ধ্বংসোন্মুখ হয়। ঋণ করিয়া তাহ শোধ করিতে না পারিলে যে দেউলিয়া হইয়া পড়িতে হয়, তাহা সকলেই জানেন । আবার বাহিক সমস্ত বিষয় নিয়মিতরূপ চলিলেও কখন কখন দেখা যায় যে, শরীর ক্ষয়ের দিকে অগ্রসর হইতেছে। এরূপ স্থলে কতকগুলি ভৌতিক বা আভ্যন্তরিক কারণে এরূপ ঘটিতেছে বিবেচনা করিতে হইবে। এই সমুদায় আভ্যন্তরিক কারণ আমাদের মনের মধ্যে স্থায়ী ভাবে কাৰ্য্য করে। যে শক্তি অদৃশ্য ভাবে আমাদের জীবনে স্থায়ী হইয়া সমুদায় কাৰ্য সম্পাদন করে, তাহাকেই আমরা জীবনী শক্তি বা ভাইটেল পাউয়ার বলিয়া থাকি। এই জীবনী শক্তি নিয়মিতরূপে চলিলেই আমরা সমস্ত কাৰ্য্য শৃঙ্খলার সহিত করিতে পারি। আর ইহার অনিয়মিত বা বিভিন্ন প্রকার গতি হইলেই রোগ প্ৰকাশ পায়। আবার ইহা অপ্রতিহত ভাবে কাজ করিতে পারিলেই জীবন দীর্ঘস্থায়ী হইয়া থাকে। এই জন্যই আজ কাল লোকের বিশ্বাস হইয়াছে যে, অমরত্ব লাভ কেবল এইরূপেই হইতে পারে। সে যাহা হউক, জীবনী শক্তির প্রকৃত ব্যবহার হইলে যে রোগ প্ৰকাশ পাইতে পারে না, সুতরাং রোগজনিত জীবনক্ষয়ও যে হইতে পারে না, তাহা অনেক স্থলে প্ৰত্যক্ষ দেখিতে পাওয়া যায়।