পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখবন্ধ । \ পরিমাণে বৃদ্ধি হইয়াছে, তাহ সহজেই বুঝিতে পারা যায়। আজ কাল এরূপ যুবক অতি বিরল, যিনি চারি পাঁচ সের পরিমিত ভক্ষ্য দ্রব্য আহার করিয়া অনায়াসে পরিপাক করিতে পারেন । বিদ্যানুশীলন বিষয়ে আমরা পূৰ্ব্বাপেক্ষা অধিকতর উন্নতি লাভ করিয়াছি বটে, কিন্তু সেই বিদ্যা নানা বিষয়ে সঞ্চারিত করিবার শক্তি বিশেষরূপে উদ্দীপিত হয় নাই । আমরা এক্ষণে সকল বিষয়ই সহজে উপলব্ধি করিতে পারি, কিন্তু আমাদের সেই উপলব্ধ জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগাইবার শক্তি এখনও সেরূপ বিকশিত হয় নাই। দৃষ্টান্ত স্বরূপ অনেক কথা বলা যাইতে পারে । কৃষিবিদ্যা সম্বন্ধে ভূরি ভুরি তত্ত্ব আমরা অবগত হইয়াছি, তদ্বিষয়ক জটিল তত্ত্ব সমুদায়ও বুঝিতে আমাদের বড় অধিক কষ্ট হয় না, কিন্তু সেই জ্ঞানটুকু কাজে লাগাইবার শক্তি এখনও আমাদের হয় নাই। স্বাস্থ্যবিদ্যা সম্বন্ধে অনেক পুস্তক প্ৰকটিত হইয়াছে। এই সকল পুস্তক পাঠ করিয়া একটী অল্পবয়স্ক বালকও ইহার সমস্ত তত্ত্ব অবগত হইতে পারে, কিন্তু কাৰ্য্যকালে তাহা কোনই উপকারে আইসে না। অতএব আমরা যাহাতে কাৰ্য্যকুশল হই, তদ্বিষয়ে বিশেষ ধন্ত্ৰ করিতে হইবে। কারণ, কাৰ্য্যকুশলতা লাভ করিতে না পারিলে সংসারে উন্নতিলাভের কোন সম্ভাবনা নাই। আমরা অনেক সময়ে অনেক বিষয়ে কেবল বক্ততাই করিয়া থাকি, কাৰ্য্যতঃ কিছুই করি না। কিন্তু কেবল বক্ততা করিয়া কোন ফল হয় না। বক্ততাকালে মুখে যাহা বলা হয়, তদনুরূপ কাৰ্য্য করিতে না পারিলে উন্নতিলাভ সম্ভবপর নহে। এ বিষয়ে ইউরোপ ও আমেরিকাব অধিবাসিগণের অনুকরণ করা আমাদিগের