পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VN) করা যায়, তখন কোন চিকিৎসকই তাহার প্রতি দয়া প্ৰকাশ বা সদভােব প্ৰদৰ্শন করিতে কুষ্ঠিত হইতে পারেন না। অন্যান্য ব্যবসায়ে এরূপ দিয়া বা সদভােব প্রদর্শন সহজে ততটা বুঝিতে পারা যায় না। কোন স্থলে অর্থ সম্বন্ধে কুথা, কোন স্থলে বা শারীরিক সাধারণ কষ্ট সম্বন্ধে কথা হয়, সুতরাং তাহাতে মানসিক ভাবের তাদৃশ প্ৰাবল্য অনুভব করা যায় না। সেখানে সেই ব্যবসায়ী লোকের মন ততটা উত্তেজিত হয় না । চিকিৎসকদিগের আর একটি অসুবিধা এই যে, রোগপ্ৰকাশের সময়ের স্থিরতা নাই। দুই প্রহর রাত্রির সময় যখন সকলেই নিদ্রার সুখময় ক্রোড়ে বিশ্রাম লাভ করে, তখন হয়তঃ চিকিৎসককে রোগীর শয্যাপার্শ্বে উপস্থিত হইয়া রোগীর অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ ও ঔষধাদির ব্যবস্থা করিতে হয়। সুতরাং শারীরিরক্ষার জন্য যত্ন করা চিকিৎসকদিগের পক্ষে অসম্ভব হইয়া উঠে। কিন্তু এত অসুবিধা সত্ত্বে ও বিশেষ যত্ন থাকিলে যে শরীর রক্ষা করিতে পারা যায়, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। ইহার মূলে যে একটী কথা আছে, আমরা সেটীকে আদৌ মনে স্থান দিই নাই। সে কথাটী শিক্ষা । ভারতবর্ষের লোকের, বিশেষতঃ বঙ্গবাসীদিগের প্রকৃত শিক্ষালাভ হয় না এবং এইরূপ শিক্ষালাভ ন হইলেই নানা প্ৰকার কষ্ট উপস্থিত হইয়া থাকে। আমরা এ স্থলে কেবল বিদ্যাশিক্ষার কথা বলিতেছি না । যে শিক্ষা দ্বারা জীবন নিয়মিত করা যায়, কাৰ্য্যাদি সুচারুরূপে সম্পন্ন করিবার • ক্ষমতা জন্মে, সেই শিক্ষার কথাই বলিতেছি । এরূপ শিক্ষা আমাদের প্রায়ই হয় না। বাল্যকালে আমরা নিয়মিত সময়ে