পাতা:জীবনী শক্তি - প্রতাপচন্দ্র মজুমদার.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や株デ औबनी अद्धि । উচিত। এইরূপ শিক্ষালাভ করিলেই বা করিতে সক্ষম হইলেই জীবৃন সুখে অতিবাহিত করিতে পারা যায়। "অনেকে বলিয়া থাকেন, আপনার জীবনরক্ষার্থ এত অধিক যত্ন করা স্বার্থন্ধি লোকের কৰ্ম্ম। স্বাৰ্থত্যাগ না করিতে পারিলে জীবন বৃথা। স্বাৰ্থ কাহাকে বলে তাহা যদি আমরা নিবিষ্টচিত্তে চিন্তা করি, তাহা হইলে দেখিতে পাই যে, আমাদের স্বার্থের সঙ্গেই অন্য লোকের স্বাৰ্থ জড়িত্ত রহিয়াছে। আমার স্বর্থত্যাগে অন্তের, স্বার্থ সাধিত হইবার সম্ভাবনা অতি অল্প । আমার শরীর সুস্থ থাকিলে তবেত আমি পরের উপকার করিতে পারিৰ । আমার অর্থ না থাকিলে কিরূপে অন্যের উপকার করিব ? যে আমেরিকান চিকিৎসকপ্ৰবর আমার পীড়া আরোগ্য করিয়াছিলেন, তিনি বলিয়াছিলেন যে, তুমি ভাবিয়াছ অতিরিক্ত পরিশ্রম করিয়া অর্থেপার্জন করতঃ তোমার পরিবারের সুখ বৃদ্ধি করিবে, অতিরিক্ত পরিশ্রম করিয়া চিকিৎসা করিয়া দীন দরিদ্রের উপকার করিবে, কিন্তু মনে রাখিও, অতিরিক্ত পরিশ্রম করিয়া শরীর ভগ্ন করিলে ? সকলই শেষ হইয়া যাইবে। তুমি অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়িবে এবং হয়ত অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হইবে। আর যদি নিয়মিত পরিশ্রম করিয়া কাৰ্য্য কর, দীর্ঘকাল জীবিত থাক, তাহ হইলে অনেক দিন পৰ্য্যন্ত আপনার ও অন্যের মঙ্গল সাধন করিতে পরিবে । এস্থলে তোমার স্বার্থ এবং অপর লোকের স্বাৰ্থ একই বলিতে হইবে । এরূপ স্থলে তোমার স্বার্থপর হওয়া অতীব কৰ্ত্তব্য। সাধারণতঃ লোকে আত্মবিসর্জনকে নিঃস্বার্থতা শব্দে অভিহিত করিয়া থাকে। ইহা প্ৰকৃত বটে যে, কেবল আপনার স্বার্থের