পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য দলে দলে লোক আসিতে লাগিল। তন্মধ্যে যাহাঁদের সহিত সুরেন্দ্ৰনাথের বেশী জানাশুনা ছিল, তাহারা দত্ত সাহেবের বাটীতে সুরেন্দ্ৰনাথের মৃতদেহ দেখিতে উপস্থিত হইতে লাগিল । সুরেন্দ্রনাথ নিজের সবিনয় নিম্ন স্বভাব এবং বিমল চরিত্রের জন্য সকলেরই প্রিয়দর্শন ছিলেন, তাহার মৃত্যুতে আজ অনেকেই হৃদয়ে একটা দারুণ আঘাত পাইল । শান্তস্বভাব সুরেন্দ্রনাথকে নিৰ্দয়ারূপে হত্যা করিতে পারে, তাহার এমন শক্ৰ যে কেহ ছিল, এ কথা প্ৰথমে সহজে কেহ বিশ্বাস করিতে পারিল না ; সুতরাং সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যুতে মহা শোকের সহিত একটা মহা বিস্ময় আর সকলেরই হৃদয় একান্ত অভিভূত করিয়া তুলিল । সহানুভূতি প্ৰকাশের জন্য নিকটবৰ্ত্তী প্রতিবেশিগণের অনেকেই শোকমুমূর্ষু দত্ত সাহেবের সহিত দেখা করিতে আসিলে তিনি কাহারও সহিত দেখা করিলেন না । অপরাহে ডাক্তার বেণ্টউত দেখা করিতে আসিলে তিনি তঁহাকে লইয়া লাইব্রেরী ঘরে বসিলেন। অমরেন্দ্রনাথও সেখানে রহিলেন। কি করিলে হত্যাকারী শীঘ্র ধরা পড়ে, সেই সম্বন্ধে তাহদের মধ্যে একটা গভীর পরামর্শ চলিতে লাগিল । এমন সময়ে সেলিনার মাতার নিকট হইতে এই দুর্ঘটনার সহানুভূতিসূচক একখানি পত্ৰ আসিল। পত্ৰখানি পড়িয়া দত্ত সাহেব দূরে নিক্ষেপ করিলেন। বলিলেন, “মিসেস মারশনই আমার সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যুর একমাত্র কারণ ; তিনি যদি না সুরেন্দ্রনাথের সহিত সেরূপ কঠিন ব্যবহার করিতেন, তাহা হইলে সুরেন্দ্রনাথকে আজ এরূপভাবে অকালে প্ৰাণ छीद्रांक्षेऊ श्रेऊ न ।” মাতুল মহাশয়ের প্রাগুপ্ত মন্তব্যে প্রতিবাদ করিয়া অমরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “র্তাহার অপরাধ কি ? এমন একটা ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটবে, তাছা তিনি অবশ্যই জানিতেন না । এমন কোন কারণ দেখি, না--"" >