পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

h জীবন্মত-রহস্য দত্ত সাহেব বলিলেন, “আপনি গণনা করিয়া বলুন দেখি, কে আমার সুরেন্দ্রনাথের হত্যাকারী ?” বেণ্ট। এরূপ গণনা আমার ক্ষমতার বহির্ভূত। দত্ত। বিষ-গুপ্তি কে চুরি করিয়াছে, বলিতে পারেন ? বেন্ট। আপনার এ উভয় প্রশ্নের আমি কিছুতেই উত্তর করিতে পারিব না । এই বলিয়া বেণ্টউড সাহেব টেবিলের উপর হইতে নিজের টুপীটাহাতে লইয়া উঠিয়া দাড়াইলেন। দাড়াইয়া বলিলেন, “কোন সুদক্ষ ডিটেকটিভ এ সকল বিষয়ে আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করিতে পারে। আপনি সুরেন্দ্ৰনাথের হত্যাকারীর সন্ধানে একজন নামজাদ ডিটেকটিভ নিযুক্ত করুন-অনেক কাজ হইবে।” “কোন আবশ্যক নাই ; সুরেন্দ্ৰনাথের ত্যাকারীকে উচিত মত প্ৰতিফল দিতে অপর কাহারও কোন সাহায্য আমি চাহি না । এখন যা’ করিতে হয়, অমর আর আমাকে করিত্যুে হইবে। কি বল অমর ?” এই বলিয়া দত্ত সাহেব অমরেন্দ্ৰনাথের পৃষ্ঠে মৃদুমন্দ করাঘাত করিতে লাগিলেন । ভ্ৰভঙ্গী করিয়া বেণ্টউড বলিলেন, “বটে, কিন্তু আপনারা যে কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইতে পরিবেন, তাহা আমি আপাততঃ ভালরকম অনুমান করিতে পারিতেছি না। এ সময়ে একজন পাকা ডিটেকটিভ নিযুক্ত করিলে, তাহার দ্বারা আপনারা অনেক উপকার পাইতেন।” ঘাড় নাড়িয়া দত্ত সাহেব বলিলেন, “সে আমরা বুঝিব ; আমি বড় কঁচা নাহি ।” বেণ্টউড মৃদুহাসিয়া বলিলেন, “তা’ না হইতে পারেন, কিন্তু আপনি ডিটেকটিভ নহেন।”