পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

у о е জীবন্মত-রহস্য বঁধিয়া রহিয়াছে। এক একবার কোন বিনিদ্র নিশাচর পক্ষীর কর্কশকণ্ঠ সেই অন্ধকার বিদীর্ণ করিয়া তীব্ৰবেগে আকাশের অনেক দূৰ পৰ্যন্ত উঠিতেছে। যে প্রকোষ্ঠে দত্ত সাহেব নিদ্রাভিভূত, সেখানে বাতায়ন-পথে অবিশ্রাম বায়ুপ্রবাহ মৃদুশব্দে ধীরে ধীরে বহিয়া আসিতেছিল, এবং দেয়ালের গায়ে একটা ঘড়ী অবিশ্রাম টিক্‌ টক্‌ শব্দ করিতেছিল । আর কোন শব্দ ছিল না । সহসা দত্ত সাহেব চমকিত হইয়া জাগিয়া উঠিলেন। র্তাহার বোধ হইল, রুদ্ধদ্বারে কে যেন মৃদু করাঘাত করিল ; জাগিয়াও একবার তিনি সেই করাঘাতের অনুচ্চ শব্দ স্পষ্ট শুনিলেন। ঘড়ীর দিকে চাহিয়া দেখিলেন, তিনটা বাজিতে বেশি বিলম্ব নাই। এমন সময়ে কে তাহার সহিত দেখা করিতে আসিয়াছে, বুঝিতে পারিলেন না ; অতিশয় চিন্তিত হইলেন। বিস্ময়ের সহিত মনে একটা ভয়ের সঞ্চার হইল। টেবিলের ডুয়ার হইতে একটা রিভলভার বাহির করিয়া লইলেন ; এবং দক্ষিণ হস্তে সেটা ঠিক করিয়া ধরিয়া, বাম হস্তে দ্বার ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করিলেন। গৃহস্থ রুদ্ধ দীপালোক উন্মুক্ত দ্বারপথ দিয়া বাহিরে বিস্তৃত হইয়া পড়িল ৷ দত্ত সাহেব সেই অস্পষ্ট আলোকে দেখিলেন, বাহিরের ছায়ান্ধকার মধ্যে এক স্ত্রীমূৰ্ত্তি দুইবাহু প্রসারিত করিয়া দাড়াইয়া । তাহার। আপাদমস্তক ঘন ঘন কম্পিত হইতেছে, পশ্চাতে কৃষ্ণতড়াগাতুল্য বিসৰ্পিত কেশতরঙ্গমালা বায়ুপ্রবাহে চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে, এবং তাহার আকৰ্ণায়ত চক্ষুদ্বয় হইতে একটা জ্বলন্ত দীপ্তি প্রতিক্ষণে বিকীর্ণ হইতেছে। দত্ত সাহেব প্ৰথমে চিনিতে পারিলেন না ; পরে চিনিলেন-সে সেলিনা । r সেলিন উন্মাদিনীর ন্যায় গৃহমধ্যে প্ৰবেশ করিল। দত্ত সাহেব সরিয়া দাড়াইলেন। বিস্ময়বিশ্বফারিতনেত্ৰে তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া