পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ রাত্রে N o o তিনি বলিলেন, “একি ব্যাপার! এমন সময়ে সেলিনা, তুমি এখানে ? ব্যাপার কি ?” * স্থির, ধীর গভীরস্বরে সেলিনা বলিল, “স্থা, এমন সময়ে—আমি চুপি চুপি লুকাইয়া চলিয়া আসিয়াছি-কেহ জানে না, মা না, জুলেখা না। সুরেন্দ্ৰনাথ কোথায় ? আমার সুরেন—” দত্ত সাহেব বলিলেন, “তুমি কি শোন নাই, সুরেন—” বাধা দিয়া সেলিন বলিল-সেই স্থির, ধীর গম্ভীরস্বরে বলিল, “মরিয়াছে, জানি—শুনিয়াছি। সুরেন মরিয়াছে—এমন সময়ে আমি তাহাকে একবার দেখিব না ? দেখিতে পাইব না ? যেখানে সুরেন আছে, সেখানে আমাকে নিয়ে চল। এখনও বিলম্ব করিতেছ ? কে, তুমি ? কি পাষাণ ! তুমি এমন সময়ে আমায় একবার তাহাকে দেখিতে দিবে না ?” সেলিনা এখন উন্মাদিনী, দত্ত সাহেব তাহা বুঝিলেন ; বুঝিয়া ভীত হইলেন। সেলিনার সেই শোচনীয় অবস্থা দেখিয়া বৃদ্ধের স্নেহশিথিলহৃদয় অত্যন্ত কাতর হইয়া উঠিল। তিনি সেলিনাকে লইয়া, যে কক্ষে সুরেন্দ্রনাথের শবদেহ রক্ষিত হইয়াছিল, সেই কক্ষাভিমুখে চলিলেন। গৃহমধ্যে প্ৰবেশ করিয়া দত্ত সাহেব স্তম্ভিত হইলেন। উচ্চৈঃস্বরে “কি সৰ্ব্বনাশ! কি সৰ্ব্বনাশ !” বলিতে বলিতে তিনি শয্যার দিকে ছুটিয়া গেলেন। তঁহার সকাতর চীৎকারে নীরব নিদ্রিত সেই প্ৰকাণ্ড অট্টালিকা প্ৰকম্পিত এবং প্ৰতিধ্বনিত হইয়া উঠিল। শয্যা শূন্য-মৃতদেহ নাই !