পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐछेन्मूर्निौ So 9 দেখিতে পাইব না'! কি হবে আমার ! আমি একবার তাহাকে দেখিব না ? আমায় একবার বুলিয়া ला७, cकांशोंध्र श्रद्धक अभिांद्ध !” এতটা বয়স হইয়াছে, দত্ত সাহেব। আর কখনও এমন আত্মহারা হ’ন নাই । সেলিনার কাতর ক্ৰন্দন নিঃসংজ্ঞ দত্ত সাহেবের হৃদয়ে চেতনার সঞ্চার করিয়া দিল। তিনি র্তাহার ভীতিবিকৃত উদাস দৃষ্টি রোরুদ্যমানা বেপমান সেলিনার মুখের উপরে স্থাপন করিয়া বাস্পরুদ্ধকণ্ঠে বলিলেন, “ঈশ্বর জানেন, সুরেন্দ্ৰনাথ কোথায় ।” এদিকে এই বিপদ, তাহার উপরে সেলিনার এই শোচনীয় অবস্থা - এখন যে তিনি কি করিবেন,-কি করিলে ভাল হয়, কিছুই ঠিক করিতে পারিলেন না-মাথার ভিতরে একটা ভয়ানক গোলমাল বাধিয়া গেল । এমন সময়ে সেই কক্ষ মধ্যে সহসা দ্রুতপদে অমরেন্দ্রনাথকে আসিতে দেখিয়া দত্ত সাহেব অনেকটা ভরসা পাইলেন। অমরেন্দ্রনাথের পরিধানে একটা লংক্লথের ঢ়িলে পাজামা, ও টুইল কাপড়ের কামিজ। তিনি গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়া হস্তস্থিত প্ৰজলিত বাতীদান সম্মুখে তুলিয়া দেখিলেন, মাতুল মহাশয় একপার্থে অবান্মুখে দাড়াইয়া আছেন; শয্যায় মৃতদেহ নাই-সেখানে সেলিনা ব্যাকুলভাবে লুষ্ঠিত হইতেছে, এবং রহিমবক্স অচেতন অবস্থায় গৃহতলে পড়িয়া আছে। এই সকল দেখিয়া অমরেন্দ্ৰনাথ অত্যন্ত শঙ্কাকুল ও স্তম্ভিত হইয়া পড়িলেন। তিনি জড়িতকণ্ঠে বলিলেন, “সহসা স্ত্রীলোকের আর্তনাদ শুনিয়া আমার ঘুম ভাঙিয়া গেল ! একি ব্যাপার। কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না ; ওখানে ও কে-সেলিনা না ? সেলিনাই কি চীৎকার করিয়া কঁাদিয়া উঠিয়াछिल ?” দত্ত সাহেব বলিলেন, “হা, সেলিনা। কাহাকেও কিছু না বলিয়া সেলিন সুরেন্দ্ৰনাথের মৃতদেহ দেখিবার জন্য পলাইয়া আসিয়াছে।