পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S e 8 জীবন্মত-রহস্য کوسم۔ معطفصعد প্রথমে সেলিনা লাইব্রেরী ঘরে যায়, দেখিলাম সুরেন্দ্রর মৃত্যু-সংবাদে সেলিনা একেবারে উন্মাদিনী হইয়া উঠিয়াছে ; এমন কি আমাকেও চিনিতে পারে নাই। সুরেন্দ্রের মৃতদেহ দেখাইলে সেলিনা কতকটা প্ৰকৃতিস্থ হইতে পারে। মনে করিয়া, আমি তাহাকেই এখানে লইয়া আসিলাম। কিন্তু কি ব্যাপার দেখ, অমর!” এই বলিয়া দত্ত সাহেব শয্যার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিলেন। “কি সৰ্ব্বনাশ-মৃতদেহ নাই!” বলিয়া অমরেন্দ্রনাথ শয্যার দিকে ছুটিয়া গেলেন। কঁদিতে কাঁদিতে উঠিয়া চারিদিকে শূন্যদৃষ্টিতে চাহিতে চাহিতে সেলিন বলিল, “নাই-নাই-আমার সুরেন নাই! তোমরা কি ভয়ানক লোক ! তাহাকে তোমরা লুকাইয়া রাখিয়াছ। সুরেন নাই! তাও কি কখন হয় ?” th অমরেন্দ্ৰনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “রহিমবক্সের কি হইয়াছে ?” দত্ত সাহেব অঙ্গুলি নির্দেশে রহিমবক্সকে দেখাইয়া বলিলেন, “ঐ যে, সে পড়িয়া রহিয়াছে। নিদ্রিত কি মৃত কে জানে ! হয় তা মরিয়াছে।” দত্ত সাহেবের শেষ কথাটা সেলিনার কাণে গেল। ‘মরিয়াছে।” শুনিয়া সে আরও ব্যাকুলত প্ৰকাশ করিতে লাগিল, এবং একান্ত ব্যাকুলভাবে দুই হাতে মুখ লুকাইয়া কঁাদিতে লাগিল, “মরিয়াছে— সুরেন-মরিয়াছে—কি ভয়ানক ! ওগো, কে আছ-আমার সুরেনকে car S ' “এখন আর চুপ করিয়া থাকা ঠিক নয় ; আমি বাড়ীর সকলকে ডাকিয়া আনি, এখনই অপহৃত মৃতদেহের একটা অনুসন্ধান করা আবশ্যক। এখন একটা কোন প্ৰতিকার না করিলে-“এই বলিয়া অমরেন্দ্ৰনাথ যেমন ছুটয়া গৃহের বাহির হইতে যাইবেন, প্ৰত্যুৎপন্নমন্তি