পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২৫

为8b、 জীবন্মত-রহস্য সাহসম্পূন্য হইয়া পড়িল। সে একান্ত হতবুদ্ধির ন্যায় একবার শূন্য শয্যার দিকে এবং একবার দত্ত সাহেবের গম্ভীরতত্ত্ব মুখের দিকে ঘন ঘন চাহিতে লাগিল । দত্ত সাহেব তাহাকে বলিলেন, “হতভম্ব হইয়া দাড়াইয়া থাকিলে এখন কোন কাজ হইবে না। এই লও—লণ্ঠন, চারিদিকে বেশ করিয়া সন্ধান করিয়া দেখ, কোথায় কোন লোকের যদি কোন পদচিহ্ন দেখিতে 9f9 |” কনেষ্টবল তখনই আদেশ পালনে তৎপর হইল। লণ্ঠন লইয়া উদ্যানের চতুর্দিক বেষ্টন করিয়া ঘুরিতে লাগিল। উজ্জল আলোকে এবং ভীত মনুষ্য-কলরবে সমগ্ৰ উদ্যানভূমি, প্ৰকাণ্ড অট্টালিকা এবং ঝটিকাসংক্ষুব্ধ ভীষণ রজনী এক মুহুর্তে প্ৰদীপ্ত এবং সজীব হইয়া छैछैिव् । O যথা সময়ে ডাক্তার বেণ্টউড এবং ইনস্পেক্টর গঙ্গারাম আসিয়া উপস্থিত হইলেন। গঙ্গারাম, দত্ত সাহেবের মুখে উপস্থিত দারুণ দুর্ঘটনার কথা শুনিয়া স্তম্ভিত হইয়া গেলেন। এবং তঁহার তরল মস্তিষ্ক একটা তীব্র আন্দোলনে নিরতিশয় চঞ্চল হইয়া উঠিল। অনেকক্ষণ র্তাহার মুখ দিয়া কোন কথা বাহির হইল না। অনেকক্ষণ পরে তঁহার সেই কনেষ্টবলকে বহুবিধ প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। তাহার নিকটে কোন সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া গেল না দেখিয়া, গঙ্গারাম পুনরায় নিজে লণ্ঠন লইয়া বাহির হইলেন। প্ৰথমে উদ্যানমধ্যে, তাহার পর উদ্যানের বাহিরে পাতি পাতি করিয়া সন্ধান করিতে লাগিলেন। চতুর্দিকে দুৰ্ভেদ্য অন্ধকার। সেই অন্ধকার-সমুদ্রে ডুবিয়া তাহার বোধ হইতে লাগিল, লণ্ঠনের আলোক লাগিয়া, তাহার চারিদিক বেড়িয়া অন্ধকার শুপগুলা ভয়ঙ্করী পিশাচীর মত বিকট নৃত্য করিতেছে।