পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ বিষাক্ত রীমাল দত্ত সাহেবের মাথার ঠিক নাই ; যতবার তিনি চিন্তার পর চিন্তা করিয়া নিঃসন্দেহ হইতে চেষ্টা করিতেছেন, ততই তিনি সন্দেহাকুল হইয়া উঠিতেছেন। তাহার মনের যখন এইরূপ শোচনীয় অবস্থা, তখন তিনি এ বিষয়ে অমরেন্দ্রের সহিত একটা পরামর্শ করা যুক্তিসঙ্গত বিবেচনা করিয়া জনৈক ভূত্যের দ্বারা তঁহাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। অমরেন্দ্ৰনাথ আসিলে একমাত্র মিসেস মার্শনের উপরেই যে, তাহার সন্দেহ হইতেছে, সে কথা তাঁহাকে বেশ বুঝাইয়া বুলিতে লাগিলেন। শুনিয়া অমরেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “আপনি যাহা বলিতেছেন, তাহা ঠিক নয় । সেলিনার মাতা যে এমন একটা হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত আছেন, এ কথা আমি কিছুতেই বিশ্বাস্ত বলিয়া বোধ করি না। একজন স্ত্রীলোক দ্বারা এ সকল ভয়ানক কাণ্ড কখনই এমন সহজে সুচারুরূপে সম্পন্ন হইতেই পারে না ।” দত্ত সাহেব বলিলেন, “কিন্তু অমর, সেলিনার মাতার এ রুমালখানা এখানে কি প্রকারে আসিল ?” অমরেন্দ্ৰ বলিলেন, “সেই রাত্রে সেলিনা এখানে আসিয়াছিল ; সম্ভব সেলিনাই রুমালখানা। এখানে ফেলিয়া গিয়াছে।” একটু চিন্তা করিয়া দত্ত সাহেব কহিলেন, “হ’তে পারে, কিন্তু এ রুমালে আমাদের বিষ-গুপ্তির বিষের গন্ধ কোথা হইতে আসিল ?”