পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

è 8 9 औनन्, ऊ-झश्छ। ha عصص সেলিনার কণ্ঠ আগ্রহপূর্ণ, স্থির, ধীর এবং 4. @द९ उठ्ठल মুখভাব ও আজ বড় গম্ভীর। সেদিনকার সেই উদ্বেগচঞ্চল সেলিনার আজ এইরূপ অভাবনীয় পরিবর্তনে দত্ত সাহেব বিস্মিত হইয়া তাহার মুখের দিকে অনিমেষনেত্ৰে চাহিয়া রছিলেন। সেলিনা জিজ্ঞাসা করিল, “ইহার মধ্যে আপনি হত্যাকারীদের সন্ধানের কিছু করিতে পারিয়াছেন কি ? আমাকে বলুন—আমাকে কোন কথা গোপন করিবেন না ।” দত্ত সাহেবও মনে মনে বুঝিলেন যে, এরূপ স্থলে সেলিনার সাহায্য ব্যতীত তিনি একাকী নিজে বিশেষ কিছু সুবিধা করিয়া উঠিতে পরিবেন। না। তখন তিনি তঁহার সহিত গঙ্গারামের যে সকল কথাবাৰ্ত্তী হইয়াছিল, তাহা সেলিনাকে বলিলেন । তাহার পর সেই রুমালের কথা বলিলেন। যতক্ষণ দত্ত সাহেব বলিতে লাগিলেন, ততক্ষণ সেলিমা একটি কথারও প্রতিবাদ করিল না—তাহার বিশালনেত্রের সরল দৃষ্টিতে দত্ত সাহেবের মুখের দিকে চাহিয়া নীরবে শুনিয়া যাইতে লাগিল। দত্ত সাহেবের বলা শেষ হইলে, সেলিনা একটু ইতস্ততঃ করিল, তৎক্ষণাৎ ক্ষুন্নভাবে কহিল, “আপনার কথায় বুঝাইতেছে যে, আপনি আমার মা আর জুলেখাকে এই সকল হত্যকাণ্ডে লিপ্ত আছে বলিয়া সন্দেহ করিতেছেন ৷” সেলিনার এইরূপ স্পষ্টবাক্যে দত্ত সাহেব বড় অপ্ৰতিভ হইলেন ; কিছু তঃ করিয়া বলিলেন, “না। তা” আমি ঠিক মনে করি নাই। তবে এরূপ স্থলে রহিমের মাথার ব্যাণ্ডেজের ভিতরে তোমার মার রুমালখানা দেখিয়া আমার বড় আশ্চৰ্য্য বোধ হইতেছে।” সে। ইহাতে আশ্চর্য্যের কিছুই নাই। ডাক্তার বেণ্টউড সেই রুমাল দিয়া ব্যাণ্ডেজ করিয়াছেন।