পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহে বিপদ র্তাহাকে বলিলেন, “আপনি আমার মুখের দিকে এরূপ ভাবে বারংবার চাহিতেছেন কেন ?” বেণ্টউড বলিলেন, “তোমার মুখ দেখিলে আমার আর একটি লোকের কথা প্রায়ই মনে পড়ে। অনেক দিন হ’ল, সে লোকটা মারা গিয়াছে।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “তিনি কি আপনার কোন একজন বন্ধু ছিলেন ?” বেণ্টউড বলিলেন, “বন্ধুত্ব ? সে লোকটা আমার অত্যন্ত বিদ্বেষী ছিল ; আমি তাহাকে আন্তরিক ঘৃণা করিতাম।” সুরেন্দ্ৰনাথ সপরিহাসে খপ করিয়া কহিলেন, “বোধ করি, আমি সে জন্য আপনার ঘূণার পাত্র না হ’তে পারি।” বেণ্টউড সাহেব তৎক্ষণাৎ বলিলেন, “সে কি কথা ! তা” তুমি হ’তে যাবে কেন ? তবে অনেক সময় মুখের সাদৃশ্যে চরিত্রটা অনেকেরই এক রকমই দেখা যায়। কি জানি, হয় তা ইহার পর তুমি আমার পরম বিদ্বেষী হইয়া উঠিতে পার, সেজন্য হয় তা আমিও তোমাকে আন্তরিক ঘৃণা করিতে পারি। বিশেষতঃ আমরা দুজনে সমব্যবসায়ী। আচ্ছা, সুরেন্দ্রনাথ, তুমি কি পামিস্ত্রী *। বিশ্বাস করা ?” সুরেন্দ্ৰনাথ মাথা নাড়িয়া বলিলেন, “না ।” দত্ত মহাশয় আর একটী চুরুট অগ্নিসংযোগপূর্বক বলিলেন, “কি বাজে কথা নিয়ে মত্ত হ’লে মিঃ বেণ্টউড !” বেণ্টউড। সে কথায় কোন উত্তর না করিয়া অমরেন্দ্রের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “তুমি কি পামিষ্ট্ৰী বিশ্বাস করা ?” • Palmistry সামুদ্রিক বিদ্যা, করতলের রেখাদি বিচারের দ্বারা ভবিষ্য বিষয় গণনা করা ।