পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ পুনরুদার একটু ইতস্ততঃ করিয়া দত্ত সাহেব কহিলেন, “বলিতে বাধা নাই-কিন্তু হয় তা আমার কথায় তুমি কষ্ট পাইবে।” আমিনা কহিল, “আপনি যে জন্য ইতস্ততঃ করিতেছেন, বুঝিতে পারিয়াছি-সুরেন্দ্ৰনাথ সেলিনাকে বিবাহ করিতে-” বাধা দিয়া দত্ত সাহেব সাগ্ৰহে কহিলেন, “তুমি এ কথা কোথায় শুনিলে ?” আমিনা কহিল, “অমরেন্দ্রনাথের নিকট শুনিয়াছি।” কথাটা শুনিয়া দত্ত সাহেব, একটু চিন্তান্বিত হইলেন। তাহার পর কহিলেন, “ওঃ বুঝিয়াছি, কেন যে অমরেন্দ্ৰ ইতিমধ্যে তোমার নিকটে এ কথা প্ৰকাশ করিয়াছে।” আমিনা সন্দিগ্ধভাবে কহিল, “কেন—আপনি এ কথা বলিতেছেন কেন ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “সে কথার এখন প্ৰয়োজন নাই। পরে তোমায় বলিব। তুমি বিষ-গুপ্তির কথা কি বলিতেছিলে ? সেই বিষ-গুপ্তির বিষেই পথিমধ্যে সুরেন্দ্রের মৃত্যু হইয়াছে।” আমিনা কহিল, “হা, আমিও লোকের মুখে শুনিয়া যতদূর বুঝিতে পারিয়াছি, তাহাতে সম্ভব বিষ-গুপ্তির বিষেই সুরেন্দ্রনাথের মৃত্যু হইয়াছে। তাহার পর ?”