পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ses জীবন্মত-রহস্য দত্ত সাহেব কহিলেন, “সুরেন্দ্রনাথের মৃতদেহ আমি বহিৰ্বাটীর একটা ঘরের ভিতরে রাখিয়াছিলাম। মৃতদেহের উপরে রাত্রে পাহারা দিতে রহিমকে নিযুক্ত করিয়া দিয়াছিলাম। রহিমবক্সকে কোন বিষাক্তগন্ধ ঔষধের সাহায্যে অজ্ঞান করিয়া, জানি না-কোন দাসু্য সেই মৃতদেহ বাহির করিয়া লইয়া গিয়াছে।” আমিনা কহিল, “মৃতদেহ অপহরণ সম্বন্ধে কাহার উপরে আপনার সন্দেহ হয় ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “কাহারও উপরে নহে। সন্দেহ করিয়া কি করিব ? কিন্তু আমার কাছে বেশিদিন গোপন থাকিবে না । না হয়, সুরেন্দ্ৰনাথের হত্যকারীর সন্ধানে আমার বাকী জীবনটা কাটাইয়া দিব ; সহজে ছাড়িব না। প্ৰথমে আমাকে দেখিতে হইবে, কে আমার বিষ-গুপ্তি চুরি করিয়াছে। বিষ-গুপ্তির চােরকে ধরিতে পারিলে, আমি তখন সকল দিকই সুবিধা করিয়া আনিতে পারিব। বিষ-গুপ্তি সকল অনার্থের মূল। এমন কি সেই বিষ-গুপ্তিরই বিষের বিষাক্ত গন্ধে রহিমকে অজ্ঞান করা আমিনা কহিল, “সেই বিষেই যে রহিমকে অজ্ঞান করা হইয়াছে, তাহা আপনি কিরূপে জানিলেন ?” ‘দত্ত সাহেব দেখিলেন, সে কথা প্ৰকাশ করিতে গেলে অনেক কথা প্ৰকাশ হইয়া পড়িবে ; তাহা হইলে সে রাত্রে সেলিনার আগমনের কথাও প্ৰকাশ হইয়া যায়, সুতরাং তিনি চাপিয়া গেলেন। বলিলেন, “সে কথা এখন আমি বলিতে পারিব না । কিন্তু আমি যেরূপেই জানি না কেন, अभि यांहा बलिव्नांभ, ऊांक्ष निन्तिऊ ।” আমিনা কহিল, “তাহা হইলে আপনার সেই বিষ-গুপ্তি কি এই সকল দুর্ঘটনার মূল কারণ ?”