পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्ठ७४ c মনের যখন এইরূপ অবস্থা, তখন দত্ত সাহেব সেই বিষ-গুপ্তি ধীরে ধীরে উঠাইয়া লইলেন ; এবং নিৰ্দিষ্ট স্থানে সামান্য চাপ দিয়া টিপিয়া ধরিতে বিষ-গুপ্তির অগ্রভাগ হইতে সর্পজিহবার ন্যায় সূক্ষ্ম, সুচীবৎ তীক্ষাগ্ৰ, বিষসিক্ত ক্ষুদ্র লৌহ-শলাকা বাহির হইল। দত্ত সাহেব একাগ্ৰদূষ্ট্রাপ্ত” দেখিতে লাগিলেন, অগ্রভাগে একবিন্দু উজ্জল সবুজ বর্ণের বিষ টল টল করিতেছে। দত্ত সাহেব বুঝিলেন, জুলেখা তাহার। সৰ্ব্বনাশ করিবার জন্য এই নূতন বিষ তৈয়ারি করিয়াছে। দত্ত সাহেবের মুখ আরও অন্ধকার হইয়া গেল । ত্ৰৈয়োদশ পরিচ্ছেদ আরও সন্দেহ দত্ত সাহেবকে এতক্ষণ নীরব থাকিতে দেখিয়া এবং তঁহার মুখের অন্ধকার ক্ৰমশঃ নিবিড় হইতে নিবিড়তার হইতে দেখিয়া আমিনা চকিতে জিজ্ঞাসা করিল, “কি হইয়াছে-আপনি কি ভাবিতেছেন ?” দত্ত সাহেব গভীর মুখে কহিলেন, “আমি জুলেখার কথা ভাবিতেছি, এখন বেশ বুঝিতে পারিয়াছি, নিজে সেই পিশাচীই এই সকল সৰ্ব্বনাশের মূল