পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য চিন্তিতভাবে ধীরে ধীরে আমিনা কহিল, “জুলেখা ! ওঃ অমরেন্দ্ৰনাথের মুখে আমি যে অনেকবার এ নাম শুনিয়াছি। সে ছোটনাগপুরদেশীয়া নয় ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “হা, সে নাগপুরের নাগিনী। আমি তাহারই বিষে সুরেন্দ্রনাথকে হারাইয়াছি।” সন্দিগ্ধভাবে আমিনা কহিল, “আপনি যাহা মনে করিতেছেন-” বাধা দিয়া দত্ত সাহেব কহিলেন, “তা” সৰ্ব্বতোভাবে সত্য, সেই পিশাচীই আমাদের সুরেন্দ্রনাথকে হত্যা করিয়াছে। যদিও তাহার বিরুদ্ধে এখনও তেমন কোন প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নাই, যাহাতে তাহাকে আমি-” বলিতে বলিতে দত্ত সাহেব সহসা সাবধান হইলেন। এবং সে কথা চাপা দিয়া পরিবৰ্ত্তিত স্বরে তৎক্ষণাৎ কহিলেন, “যাক, এ সকল ভাবনা ইহার পর ভাবিলেও চলিবে । আপাততঃ আশানুল্লাকে আরও দুই-একটা কথা জিজ্ঞাসা করিয়া দেখা যাক ৷” আমি। আপনি আর কি জিজ্ঞাসা করিবেন ? দত্ত। নূতন কিছু নহে। সেলিনাদের বাগান-বাড়ীর গেটের ধারে এই বিষ-গুপ্তি কুড়াইয়া পাইয়াছে বলিয়া, যখন সে নিজে স্বীকার করিতেছে, তখন তাহার নিকট হইতে হত্যাকারীর বিরুদ্ধে দুই-একটা প্ৰমাণ পাওয়া যাইতে পারে। আমি । আপনি কি তাহার নিকটে তেমন কোন সুবিধাজনক প্ৰমাণ পাইবেন, বোধ করেন ? দত্ত। এমন প্রমাণও পাইতে পারি যে, খুনের পর জুলেখাই এই বিষ-গুপ্তি সেখানে ফেলিয়া থাকিবে । আমিনা কহিল, “জুলেখা যে এ হত্যা করিয়াছে, আপনার এ অনুমান কি সত্য ?”