পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እv9b” জীবন্মত-রহস্য তাহার একান্ত অনিচ্ছ একমাত্ৰ কন্যা সেলিনার সহিত সুরেন্দ্রনাথের বিবাহ হয়, তাহার অনিচ্ছাসত্ত্বেও কন্যা সুরেন্দ্ৰনাথের একান্ত পক্ষপাতিনী। তাহার পর বিষ-গুপ্তির সন্ধানকারিণী আমিনার উপরেও সন্দেহ হইবার বিশিষ্ট কারণ আছে; সে সুরেন্দ্রনাথের নিকটে উপেক্ষিত হইয়াছে। ইহা অপেক্ষা স্ত্রীলোকের আর অধিক কি অপমান হইতে পারে ? তাহার পর আশানুল্লা, তাহাকেও বড় বিশ্বাস নাই। কে জানে, সে যাহা দত্ত সাহেবের নিকটে বলিল, তাহা সত্য কি মিথ্যা। যাহা হউক, ইহা একটী দুরূহাৰ্থ হত্যা-প্ৰহেলিকা। সুনিপুণ পাঠক, যথা সময়ে অর্থ প্ৰকাশ পাইবার পূর্বে প্ৰকৃতাৰ্থ নির্ণয় করিয়া নিজ পাঠ-নৈপুণ্যের প্রকৃষ্ট পরিচয় দিবেন । , আমিন জিজ্ঞাসা করিল, “ডাক্তার বেণ্টউডকেই কি আপনি আপাততঃ দোষী স্থির করিয়াছেন ?” দত্ত । তাহাকে দোষী স্থির করিবার অনেক কারণ আছে। একদিন বেণ্টউড সুরেন্দ্রনাথের করা-রেখা গণিয়া বলিয়াছিল, যদি সে সেলিনাকে বিবাহ বা তাহার নিকটে বিবাহের প্রস্তাব করে, তাহার জীবন্মত-দশা ঘটবে। আমিনা । ইহার অর্থ কি-জীবন থাকিতে মৃত্যু ? দত্ত। আমরাও আগে তাঁহাই মনে করিয়াছিলাম। আমরা পূর্বে এই কথার পক্ষাঘাত বা মৃগীরোগ এইরূপ একটা মানে করিয়াছিলাম । এখন বুঝিতেছি, জীবন থাকিতে মৃত্যু—মানে, অকালে অপঘাতমৃত্যুখুন- খুন। প্ৰকারান্তরে তখনই বেণ্টউড সুরেন্দ্রনাথকে খুন করিবে বলিয়াছিল ; আমরা তখন কথাটা ভাবিয়া দেখিতে চেষ্টা করি নাই । বেণ্টউডের আন্তরিক ইচ্ছা সেলিনাকে বিবাহ করে ; কিন্তু সেলিনা সুরেন্দ্রনাথের একান্ত অনুরাগিণী। সুরেন্দ্রনাথ যাহাতে পূর্ব হইতে সাবধান